ইপেপার । আজ সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

নির্ধারিত পোশাক পরিধাণের নির্দেশ : অভিভাবকদের সহযোগিতা কামনা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১৯:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুলাই ২০১৮
  • / ৪৯৫ বার পড়া হয়েছে

বদলে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের পরিবেশ
মেহেরাব্বিন সানভী: পাল্টে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের চিত্র। পরিবর্তন হয়েছে কলেজের রাস্তা, বাগান, মাঠ থেকে শুরু করে শ্রেণিকক্ষের পরিবেশও। কিন্তু প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে ছিলোনা কোনো নির্ধারিত পোশাকের ব্যবস্থা। এ কারণেই জেলার শিক্ষাবিদ, সুধিজন, অভিবাবক তথা সমগ্র জেলার মানুষের মধ্যে ছিলো বহুদিনের ক্ষোভ। যে ক্ষোভ নিয়ে মুখটা কালো করে অনেকেই নানা প্রকার মন্তব্য করতো চুয়াডাঙ্গা জেলার এই শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ সম্পর্কে। সেই ক্ষোভে থাকা মুখটা পরিণত হয়েছে হাসি মুখে। প্রসংসার বানীও শোনা যাচ্ছে নানা শ্রেণি পেশার মানুষের মুখে। কেনই বা হবে না, বহুদিনের প্রতীক্ষার পর অনেকেরই প্রাণের প্রতিষ্ঠান চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে আস্তে আস্তে আসছে নতুন এক ভালো সম্ভাবনার দিকে। কারণ সেই যে নির্ধারিত পোশাকের যেই ক্ষোভটি ছিলো মানুষের মুখে তা আর থাকছে না। এবছর থেকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছেলেদের জন্য হালকা আকাশী নীল রং এর শার্ট ও কালো প্যান্ট এবং মেয়েদের জন্য হালকা আকাশী নীল রং এর সালোয়ার কামিজ, সাদা রং এর ওড়না, সাদা স্কার্ফ এবং বোরকার ক্ষেত্রে বোরকার রং হালকা আকাশী নীল রংয়ের নির্ধারিত পোশাক পরে আসার নির্দেশ দিয়েছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্ব ঘোষিত নির্দেশনা মোতাবেক গতকাল শনিবার নির্ধারিত পোশাক পরে না আসা শিক্ষার্থীদেরকে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে দেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। প্রথম ক্লাসেই কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুজ্জামান, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ভি.জি.লেনস টিমের আহ্বায়ক দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আতিয়ার রহমান, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. আব্দুল আজিজ অর্থনীতি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আব্দুল ওদুদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মতিউর রহমান, বাংলা বিভাগের প্রভাষক মারুফা ইয়াসমিন, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মারফত আলী, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক আবু জাফর ওসমানিসহ ভি.জি.লেনস টিমের সদস্যরা শ্রেণিকক্ষে নির্ধারিত পোশাক আছে কিনা পরিদর্শন করেন। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুজ্জামান বলেন- সারাদেশের বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আছে নির্ধারিত পোশাক পরিধারণের ব্যবস্থা। একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চেনা, প্রতিষ্ঠানটির পরিচিতি লাভসহ নানামুখি বিষয়ে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখে প্রতিষ্ঠানটির নির্ধারণ করে দেওয়া পোশাক। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে এ যাবত পর্যন্ত নির্ধারিত পোশাক ছিলো না। এবছর থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে। পরপর দুইবার সময় বেধেঁ দেওয়ার পরও অনেকেই পোশাক পরিধারণ করেনি। তাই পূর্ব ঘোষিত নির্দেশনা মোতাবেক তাদেরকে শ্রেণিকক্ষে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অভিভাবকদের প্রতি সহযোগীতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কলেজের নিয়ম মেনে নির্ধারিত পোশাক পরে আসার ক্ষেত্রে অভিবাবকদের সহযোগীতার প্রয়োজন। অভিভাবকদের সহযোগীতা ছাড়া এই উদ্যোগটিকে সফল করা যাবে। এদিকে, এই পদক্ষেপটিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার সুধিজনেরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

নির্ধারিত পোশাক পরিধাণের নির্দেশ : অভিভাবকদের সহযোগিতা কামনা

আপলোড টাইম : ১১:১৯:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুলাই ২০১৮

বদলে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের পরিবেশ
মেহেরাব্বিন সানভী: পাল্টে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের চিত্র। পরিবর্তন হয়েছে কলেজের রাস্তা, বাগান, মাঠ থেকে শুরু করে শ্রেণিকক্ষের পরিবেশও। কিন্তু প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে ছিলোনা কোনো নির্ধারিত পোশাকের ব্যবস্থা। এ কারণেই জেলার শিক্ষাবিদ, সুধিজন, অভিবাবক তথা সমগ্র জেলার মানুষের মধ্যে ছিলো বহুদিনের ক্ষোভ। যে ক্ষোভ নিয়ে মুখটা কালো করে অনেকেই নানা প্রকার মন্তব্য করতো চুয়াডাঙ্গা জেলার এই শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ সম্পর্কে। সেই ক্ষোভে থাকা মুখটা পরিণত হয়েছে হাসি মুখে। প্রসংসার বানীও শোনা যাচ্ছে নানা শ্রেণি পেশার মানুষের মুখে। কেনই বা হবে না, বহুদিনের প্রতীক্ষার পর অনেকেরই প্রাণের প্রতিষ্ঠান চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে আস্তে আস্তে আসছে নতুন এক ভালো সম্ভাবনার দিকে। কারণ সেই যে নির্ধারিত পোশাকের যেই ক্ষোভটি ছিলো মানুষের মুখে তা আর থাকছে না। এবছর থেকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছেলেদের জন্য হালকা আকাশী নীল রং এর শার্ট ও কালো প্যান্ট এবং মেয়েদের জন্য হালকা আকাশী নীল রং এর সালোয়ার কামিজ, সাদা রং এর ওড়না, সাদা স্কার্ফ এবং বোরকার ক্ষেত্রে বোরকার রং হালকা আকাশী নীল রংয়ের নির্ধারিত পোশাক পরে আসার নির্দেশ দিয়েছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্ব ঘোষিত নির্দেশনা মোতাবেক গতকাল শনিবার নির্ধারিত পোশাক পরে না আসা শিক্ষার্থীদেরকে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে দেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। প্রথম ক্লাসেই কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুজ্জামান, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ভি.জি.লেনস টিমের আহ্বায়ক দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আতিয়ার রহমান, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. আব্দুল আজিজ অর্থনীতি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আব্দুল ওদুদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মতিউর রহমান, বাংলা বিভাগের প্রভাষক মারুফা ইয়াসমিন, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মারফত আলী, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক আবু জাফর ওসমানিসহ ভি.জি.লেনস টিমের সদস্যরা শ্রেণিকক্ষে নির্ধারিত পোশাক আছে কিনা পরিদর্শন করেন। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুজ্জামান বলেন- সারাদেশের বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আছে নির্ধারিত পোশাক পরিধারণের ব্যবস্থা। একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চেনা, প্রতিষ্ঠানটির পরিচিতি লাভসহ নানামুখি বিষয়ে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখে প্রতিষ্ঠানটির নির্ধারণ করে দেওয়া পোশাক। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে এ যাবত পর্যন্ত নির্ধারিত পোশাক ছিলো না। এবছর থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে। পরপর দুইবার সময় বেধেঁ দেওয়ার পরও অনেকেই পোশাক পরিধারণ করেনি। তাই পূর্ব ঘোষিত নির্দেশনা মোতাবেক তাদেরকে শ্রেণিকক্ষে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অভিভাবকদের প্রতি সহযোগীতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কলেজের নিয়ম মেনে নির্ধারিত পোশাক পরে আসার ক্ষেত্রে অভিবাবকদের সহযোগীতার প্রয়োজন। অভিভাবকদের সহযোগীতা ছাড়া এই উদ্যোগটিকে সফল করা যাবে। এদিকে, এই পদক্ষেপটিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার সুধিজনেরা।