
আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গায় নাগদাহ ও আইলহাঁস ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়। জেলা নির্বাচন অফিসার তারেক আহমেমদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. কবীর হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ও আইলহাঁস ইউপি নির্বাচন আগামী ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আপনারা যে সমস্ত প্রার্থী উপস্থিত আছেন তাদের উদ্দেশ্য বলি, আপনারা নির্বাচনী আচরণবিধি মনে চলবেন, কোনোভাবেই আইনশৃঙ্খলার অবনতি আমরা বরদাস্ত করব না। নিজেরা নিজ নিজ কর্মীদের সংযত হতে বলে নির্বাচনী কাজ করে যান, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা সর্বাত্মক সজাগ থাকব। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকবে। ম্যাজিস্ট্রেটসহ ভ্রাম্যমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভোটকেন্দ্র পরিদর্শ করবে। চেয়ারম্যান, মেম্বার, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে যারা নির্বাচন করছেন, তারা আজ থেকে আপনাদের কর্মীদের সজাগ করে দেন। আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করা যাবে না। ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন অফিসার এমএজি মোস্তফা ফেরদৌস। জীবননগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মেজর আহমেদের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হায়াত আলী, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ এজাজ ইমতিয়াজ জোয়ার্দ্দার বিপুল, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী দারুস সালাম, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রভাষক আবুল হোসেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলমগীর হোসেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মিশর আলী, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুল্লাহ, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আতিকুর রহমান, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ালুজ্জামান রাসেল, আইলহাঁস ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম বাদল, স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনাজ উদ্দিন বিশ্বাস, স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোলদাঁড়ী গ্রামের মোহাম্মদ বিল্লাল গনি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনের মহিলা ২৩ জন ও ৫১ জন সাধারণ সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী।