নাগদাহে নির্বাচনী সহিংসতায় নৌকার সমর্থকের মৃত্যু

ইউনিয়ন আ.লীগের প্রতিবাদ সমাবেশ, আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি 

আলমডাঙ্গা অফিস:

আলমডাঙ্গার নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত দবির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ১৩ দিন আইসিউতে থাকার পর গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। গতকাল রাতে দবিরের লাশ আলমডাঙ্গায় পৌঁছালে পৌর শহরের ৭১ স্তম্ভের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে ইউনিয়ন আওয়ামী। এসময় অবিলম্বে আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।

জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনী প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থক জহুরুলনগর গ্রামের আত্তাব মন্ডলের ছেলে দবির উদ্দিন, খবির উদ্দিন, আনিস ও একই গ্রামের ইসলাম লস্করের ছেলে মিয়াসহ বিদ্রোহী প্রার্থীর কয়েকজন কর্মী-সমর্থক আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে দবিরের অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়া তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৩ দিন আইসিউতে থাকা অবস্থায় গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

গতকাল রাত ১০টার দিকে দবিরের লাশ আলমডাঙ্গায় পৌঁছালে পৌর শহরের ৭১ স্তম্ভের সামনে নাগদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে বক্তারা দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে তার সমর্থকেরা ১১ মার্চ রাতে হামলা চালিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আমরা অবিলম্বে এ হত্যার সাথে জড়িত সবার গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।’

প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হায়াত আলী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আইয়ুব হোসেন, দবিরের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান খোকন, ভাই খবির উদ্দিন ও আশিক ইকবাল স্বপন।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলিম বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মারামারিতে আহত দবির উদ্দিন শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করেছিল। এর মধ্যে দবিরের ছেলে খোকন ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি মামলা করেছিলেন। এখন সেখানে হত্যা মামলার ধারা যুক্ত হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দ্রুত চার্জশিট দাখিল করব।’ এদিকে, গতকাল রাতেই জহুরুলনগর গ্রামে জানাজা শেষে দবিরকে দাফন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত নাগদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইমতিয়াজ বিপুল জোয়ার্দ্দার চশমা প্রতীক নিয়ে ৪ হাজার ৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন।