নদীয়ায় লালন মেলায় ধীরু বাউলকে স্মারক প্রদান

Exif_JPEG_420

দর্শনা অফিস:

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার বীরনগর স্টেশন মাঠে সপ্তাহব্যাপী লালন মেলায় কুষ্টিয়া তথা চুয়াডাঙ্গা জেলাকে মেলে ধরে ধীরু বাউল লালনের বাউল ভাব বিচ্ছেদ গান করে মাতিয়ে এসেছেন। চুয়াডাঙ্গার দর্শনার কৃতী সন্তান বাংলাদেশ টেলিভিশনের লোক সংগীত শিল্পী ধীরু বাউল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলার চিরায়ত লোকসংস্কৃতির সমৃদ্ধ ভাণ্ডারকে আরও প্রচার এবং প্রসার করতে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ভারতের নদীয়ার বীরনগর ‘সারা বাংলার লালন মেলা মঞ্চে’ লালন সাইঁজির গান ‘তরিতে বাসোনা জাগে ধরোরেমন সাধু সঙ্গ, তিন গর্ভে আছেরে এক ছেলে, শাহ আ. করিমের গান ‘কোন মিস্তোরি নাও বানাইছে, গাড়ি চলে না চলে না চলে নারে, গাড়ি চলে না, চলিতে চরণ চলেনা দিনে দিনে অবস হই, আগের বাহাদুরি তোমার গেলো কই, চারনকবি বিজয় সরকারের গান ‘তুমি দয়াল আছো আমার বড় প্রমান সেই, পোষা পাখি উড়ে যাবে সজনি, একদিন ভাবিনাই মনে, জানিতে চাই দয়াল তোমার আসল নামটি কি? সহ বাংলার লোক কবিদের রচনাকরা গান ভারতের মাটিতে গেয়ে দর্শক মাতিয়ে তোলেন। এ সময় ভারতের বীরভূম জেলার প্রখ্যাত আন্তর্জাতিক শিল্পী লক্ষণ দাস বাউল, জি বাংলার কার্তিক দাস বাউল, সমিরন দাস বাউল, কলকাতা ফিল্মের সুচরিতা মৈত্রী, মুনসুর ফকিরসহ শতাধীক বাউল সাধক ও শিল্পীরা গানে গানে মঞ্চ মাতিয়ে তোলেন।

গত ৭ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ‘সারা বাংলার লালন মেলা’ গত সোমবার ১৩ মার্চ লালন সাইঁজির গোষ্ঠ গানের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে। শেষ দিনে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে সরকারের রানাঘাট- নদীয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত এমএলএ পার্থ সারথি চট্রপধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বরেণ্য ও ক্ষ্যাতিমান বাউল শিল্পীদের হাতে ফুলের তোড়া, শুভেচ্ছা স্মারক ও সম্মাননা মেডেল তুলে দেন। এসময় তিনি বলেন, ‘বিশ্ব দরবারে বাউলরাই বাংলার মর্যাদা- সম্মান তুলে ধরে চলেছেন। তিনি দু দেশের বাউল সাধক শিল্পীদেরকে মঞ্চে হাত তুলে পরিচয় করিয়ে দেন। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক শ্রী প্রনয় দাস আচার্যের সভাপতিত্বে স্থানীয় কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক ও বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা ব্যাক্তিগন বক্তব্য দেন।