ধ্বংসস্তূপে ভুমিষ্ট শিশুটিকে দত্তক পেতে হাজারো আবেদন

সমীকরণ প্রতিবেদন:
ভূমিকম্পের পর সিরিয়ার ধ্বংসস্তূপে জন্ম নেওয়া নবজাতককে দত্তক নিতে হাজার হাজার আবেদন জমা পড়েছে। সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জিনদায়ার্স শহরে ভূমিকম্পের কয়েক ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপে জন্ম শিশুটির। সদ্যোজাত শিশুটির মা কিংবা পরিবারের অন্য কেউ বেঁচে নেই। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া শিশুটির নাম রাখা হয়েছে আয়া। সে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শিশুটির দেখাশোনা করা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হানি মারুফ জানিয়েছে, সোমবার যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন তার শারীরিক অবস্থার বেশ অবনতি হয়েছিল। গায়ে ক্ষত ছিল, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। তবে শিশুটির অবস্থা এখন অনেকটা স্থিতিশীল।’
হাসপাতালের ব্যবস্থাপক খালিদ আতিয়াহ জানান, চার মাস বয়সী এক কন্যাসন্তান রয়েছে তাঁর। আন্তিয়াহর স্ত্রী আয়াকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন বলে জানান তিনি।
আত্তিয়াহ বলেন, তিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ফোনকল পেয়েছেন, যারা শিশু আয়াকে দত্তক নিতে চান। তবে এখনই দত্তক দেওয়া হবে না উল্লেখ করে আত্তিয়াহ বলেন, ‘এখনই দত্তক দেওয়া হবে না আয়াকে। ওর কোনো আত্মীয় স্বজন না পেলে তারপর ভেবে দেখব। এখন ও আমার সন্তানের মতোই থাকবে।
এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও শিশু আয়াকে দত্তক নেওয়ার জন্য হাজারো মানুষ আবেদন করেছেন। একজন লিখেছেন, আমি শিশুটিকে দত্তক নিতে চাই এবং তাকে একটি সুন্দর জীবন দিতে চাই। কুয়েতের এক টেলিভিশন উপস্থাপক লিখেছেন, ‘আমি তাকে দত্তক নেওয়া ও দেখভালের জন্য প্রস্তুত, যদি নিয়মকানুন মেনে আমাকে দেওয়া হয়।’
সিরিয়া ও তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সদ্য জন্ম নেওয়া নবজাতককে হাতে নিয়ে দৌড়ে আসছেন এক উদ্ধারকর্মী। সে সময় আরেক উদ্ধারকর্মীকে কাপড় এগিয়ে দিতে দেখা যায়। ভিডিওটি আলেপ্পোর আফরিন জেলার জিনদায়ার্স শহরের।
নবজাতকটির এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় খলিল আল-সুওয়াদি জানান আয়াকে উদ্ধারের সময় তিনি সেখানে ছিলেন এবং আফরিনের হাসপাতালে চিকিৎসক মারুফের কাছে নিয়ে যান।