চুয়াডাঙ্গা শুক্রবার , ৪ মার্চ ২০২২
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ধ্বংসস্তূপে পরিণত ইউক্রেন

নিউজ রুমঃ
মার্চ ৪, ২০২২ ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সমীকরণ প্রতিবেদন:
দেখতে দেখতে গতকাল বৃহস্পতিবার অষ্টম দিনে পা দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এরই মধ্যে রুশ সেনার গোলায় দুই হাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন প্রশাসন। এই কয়েকদিনে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বহু শহর কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তবে রাজধানী কিয়েভ এখনো দখলে নিতে পারেনি রুশ সামরিক বাহিনী। অবশ্য এজন্য লাগাতার হামলাও চালিয়ে যাচ্ছে রশিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফোটার আগেই ইউক্রেনের রাজধানীতে দফায় দফায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মধ্যরাতে হওয়া এসব বিস্ফোরণের একটি ভিডিও সামনে এসেছে। সংবাদসূত্র : বিবিসি, রয়টার্স, সিএনএন, এএফপি, আল-জাজিরা। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে কমপক্ষে চারটি বিস্ফোরণ হয়েছে। এর মধ্যে কিয়েভ শহরের কেন্দ্রে দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটেছে। এরপর একটি মেট্রো স্টেশনের কাছে আরও দুটি বিস্ফোরণ হয়। এ সময় বিমান হামলার সতর্কতামূলক সাইরেনের শব্দও শোনা যায়। এছাড়া কিয়েভে শক্তিশালী বিস্ফোরণের একটি ভিডিও সামনে এসেছে। এতে রাতের আঁধারে কিয়েভে বিস্ফোরণের দৃশ্য উঠে এসেছে। তবে ভিডিওটি স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
এদিকে রুশ হামলায় ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান শহর এবং বন্দরনগরী খেরসনের পতন হয়েছে। ব্যাপক হামলার পর রাশিয়ার সামরিক বাহিনী দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরটির দখল নেয়। খেরসন শহরের মেয়র ইগোর কলিখায়েভ জানিয়েছেন, দেশের অন্যতম প্রধান এই শহরটি দখলে নেওয়ার পর রুশ সেনরা সিটি কাউন্সিল ভবনে প্রবেশ করে এবং শহরে কারফিউ জারি করে। প্রায় তিন লাখ বাসিন্দার খেরসন শহরটি রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দখলে যাওয়া মস্কোর জন্য বড় ধরনের এক বিজয়। রাশিয়ার সেনাদের হাতে পতন হওয়া সবচেয়ে বড় শহরও এটি। একইসঙ্গে সামরিক বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘাঁটিও হবে শহরটি। এই শহর থেকে উপকূল বরাবর আরও ভেতরে এবং পশ্চিমের আরেক বৃহৎ বন্দরনগরী ওডেসার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন হবে। কৃষ্ণ সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর এবং একটি শিল্পকেন্দ্র এই খেরসন শহর।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। এরপর থেকে প্রতিবেশী ইউক্রেনে সর্বাত্মক রুশ সামরিক অভিযানের কারণে লাখ লাখ ইউক্রেনীয় দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। হামলা শুরুর পর সপ্তাহ গড়ালেও ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। তবে কিছু কিছু শহরে রুশ সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করেছে।
স্যাটেলাইট ছবিতে কিয়েভের ধ্বংসযজ্ঞ:
এদিকে, ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর ক্রমাগত হামলায় ধ্বংসযজ্ঞ দেখা গেছে নতুন কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) ছবিতে। যেখানে রুশ হামলার প্রথম পাঁচ দিনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখানো হয়েছে। ছবিগুলো ২৮ ফেব্রুয়ারি ধারণ করেছে ম্যাক্সার টেকনোলজিস। তারপর থেকে রুশ হামলায় ইউক্রেনে এত বেশি ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়েছে, যে কারণে বেশিরভাগ স্যাটেলাইট দেশটির চিত্র ধারণে এবং পর্যবেক্ষণে বাধার সম্মুখীন হয়েছে। স্যাটেলাইটে তোলা একটি ছবিতে কারনিভের রিভনোপিলিয়া গ্রামের বেশ কিছু বাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়, যেটির অবস্থান রাজধানী কিয়েভ থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার উত্তরে। গ্রামটির চারপাশে বেশ কিছু বড় বড় গর্তও দেখা গেছে। কারনিভে স্ট্রাজেন নদীর ওপর নির্মিত একটি ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা গেছে। সেটির আশপাশের আবাসিক ভবন ও কারখানা স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দেখা গেছে স্যাটেলাইটে ধারণ করা ছবিতে। এছাড়া কাছের একটি সড়কে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর বহর দেখা গেছে।
স্যাটেলাইট ছবিতে আরও দেখা গেছে, কিয়েভের বুচা শহরে একটি আবাসিক এলাকায় রাশিয়ান সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন জ্বলছে। গত রোববার ইউক্রেনের কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন, তারা রাশিয়ার একটি ‘আগ্রাসনকে’ রুখে দিতে সক্ষম হয়েছে। কিয়েভে থেকে ৭০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের ছোট্ট শহর সুকাচির একটি সড়কের মধ্যভাগে রুশ হামলার বড় প্রভাব দেখা গেছে। এছাড়া কাছাকাছি বসত-বাড়িগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্যাটেলাইট ছবিতে কিয়েভ ও কারনিভে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার চিত্রও দেখা গেছে। যেখানে কয়েকশ’ মানুষকে সুপার মার্কেটের বাইরে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
এদিকে, অজ্ঞাত স্থান থেকে ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বুধবার রাতে প্রকাশ করা বার্তায় তিনি রুশ ‘আগ্রাসনকারীদের’ বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছেন। ফেসবুকে পোস্ট করা ওই বার্তার ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, ‘প্রত্যেক দখলদারের জানা উচিত, তারা ইউক্রেনীয়দের কাছ থেকে তীব্র প্রতিরোধ পাবে।’ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট অজ্ঞাত স্থান থেকে বলেন, ‘আমরা এমন এক জাতি, যারা এক সপ্তাহের মধ্যে শত্রম্নদের পরিকল্পনা ভেঙে দিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের থামিয়ে দিয়েছি।’
জেলেনস্কি জানান আটক হওয়া রুশ সেনারা জানে না, তারা কেন এসেছে। আর ‘শত্রু সেনারা এখন রাশিয়ায় ফের পালিয়ে যাচ্ছে।’ রুশ সেনাদের ‘বিভ্রান্ত শিশু’ আখ্যা দিয়ে জেলেনস্কি বলেন, তাদের ব্যবহার করছেন তাদের মস্কোর নেতারা। তার কথায়, ‘আমাদের সেনা, সীমান্তরক্ষীরা, নিরাপত্তাকর্মী, এমনকি সাধারণ কৃষকরাও প্রতিদিন রুশ সেনাদের ধরছে। তাদের সকলকে একটাই কথা বলতে শোনা গেছে- তারা জানেই না, কেন ইউক্রেনে এসেছে।’ ভিডিওতে কোনোটোপ, ভাসটানকা, এনারগোদার এবং মেলিটোপোল শহরের নাগরিকদের ধন্যবাদ জানান প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি দাবি করেন, এসব শহরের বাসিন্দা রুশ সেনাদের ঠেকাতে সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। জেলেনস্কি জানান, তিনি সম্প্রতি নরওয়ে, ইসরাইল, কাজাখস্তান, কাতার, কানাডা, পোল্যান্ড এবং ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এছাড়া ইউক্রেনীয় ১৫ সেনাকে ‘ইউক্রেনের বীর’ আখ্যা দেওয়ার ডিক্রিতে সই করার কথাও জানান জেলেনস্কি। এদের মধ্যে ৯ জন মরণোত্তর এই উপাধি পেয়েছেন। জেলেনস্কি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার দেশকে আবারও পুনর্গঠন করা হবে।
আর গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আপনি (পুতিন) যদি ইউক্রেনের সব গির্জা এবং ক্যাথেড্রাল ধ্বংসও করে দেন, আমাদের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তার প্রতি আমাদের আন্তরিক বিশ্বাস ধ্বংস নষ্ট করতে পারবেন না। আমরা প্রত্যেকটি ঘর, রাস্তা এবং শহর পুনর্গঠন করব।’ বিবৃতিতে ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ‘আপনি আমাদের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, প্রতিটি ইউক্রেনের মানুষের বিরুদ্ধে যা করেছেন, তার জন্য সম্পূর্ণভাবে যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে আপনাকে।’
শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবে রাশিয়া : ল্যাভরভ
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, কিছু বিদেশি নেতা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে বিশ্বাস করেন তিনি। এমন কিছু হলে মস্কো একেবারে ‘শেষ’ পর্যন্ত লড়াইয়ে থাকবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার মস্কোতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, পারমাণবিক যুদ্ধের কোনো চিন্তা নেই রাশিয়ার। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার এক সপ্তাহ পর রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে একজন ‘জাতিগত ইহুদি’ এবং ‘তিনি এমন একটি সমাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যেখানে নাৎসিবাদ লালন করা হয়’ বলে অভিযোগ করেন। তবে এসব অভিযোগের ব্যাপারে কোনো ধরনের প্রমাণ দেখাতে পারেননি তিনি।
‘ল্যাভরভ বলেছেন, ইউক্রেন সংকটের একটি সমাধান পাওয়া যাবে এবং এ বিষয়ে তার কোনো সন্দেহ নেই। ইউক্রেনীয় এবং রুশ কর্মকর্তাদের মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে পশ্চিমাদের সঙ্গে আলোচনা অবশ্যই পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে হতে হবে বলে জানিয়েছেন সের্গেই ল্যাভরভ। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর বিরুদ্ধে আধিপত্যবাদ টিকিয়ে রাখার অভিযোগ করেছেন তিনি। বলেছেন, অনেক সদিচ্ছা থাকলেও কাউকে নিজের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করতে দিতে পারে না রাশিয়া। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার জন্য হুমকি’ এমন কোনো স্থাপনা ইউক্রেনকে রাখতে দেবে না মস্কো। ল্যাভরভের মতে, ইউক্রেনের কাছ থেকে উদ্ভূত সামরিক হুমকিও মস্কো সহ্য করবে না। ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার অধিকার আছে বলেও বিশ্বাস করেন তিনি।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পশ্চিমা রাজনীতিকদের মাথায় ক্রমাগত পরমাণুর চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে, রাশিয়ানদের মাথায় নয়। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, ভারসাম্যহীনতার জন্য কোনো ধরনের উসকানি মেনে নেবো না।’ রাশিয়া রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্নতা বোধ করছে না এবং ইউক্রেনে মানুষের জীবন কীভাবে পরিচালিত হবে, সেটি তাদের জনগণই ঠিক করবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বেসামরিক এলাকায় হামলার যে অভিযোগ করেছেন সে বিষয়ে ল্যাভরভ বলেন, সামরিক অবকাঠামো ধ্বংসের জন্য একেবারে ‘উচ্চমানের নিখুঁত নিশানা বানাতে পারে’ এমন অস্ত্র ব্যবহারের কঠোর নির্দেশ দেওয়া আছে।
কিয়েভবাসীদের ‘নিরাপদে সরে যাওয়ার’ আবারও প্রস্তাব রুশ বাহিনীর:
রাশিয়ার বাহিনীগুলো ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বাসিন্দাদের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ভাসিলকিভের দিকে চলে যাওয়ার সুযোগ দেবে বলে মস্কোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে ইউক্রেন অভিযানের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরার সময় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগর কোনাশেনকভ এ প্রস্তাব দেন। সাংবাদ চ্যানেল ‘রোশিয়া ২৪’-এ তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বেসামরিক লোকজনকে চলে যেতে কোনো বাধা দেবে না।’ রাশিয়া এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কিয়েভের বেসামরিক বাসিন্দাদের শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার একটি পথ প্রস্তাব করল। সোমবারও মেজর জেনারেল কোনাশেনকভ বেসামরিকদের একই প্রস্তাব দিয়ে বলেছিলেন, ‘ভাসিলকিভের দিকের পথ খোলা ও নিরাপদ’। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ভাসিলকিভ শহরটিও রুশ বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছে। রুশ বাহিনী শহরটিতে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কিয়েভের স্থানীয় সময় ভোররাতেও শহরটিতে ভারী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা ফুটেজগুলোতে রাতের আকাশ আলো করা প্রকান্ড অগ্নিগোলক দেখা গেছে।
ইউক্রেনে ৪৯৮ রুশ সেনা নিহত, মস্কোর স্বীকারোক্তি:
ইউক্রেন ও রাশিয়ার চলমান যুদ্ধে দুই পক্ষ থেকেই নিয়মিত তথ্য জানানো হচ্ছে। ইউক্রেন দাবি করেছে যুদ্ধে রাশিয়ার প্রায় ৯ হাজার সেনা হতাহত হয়েছে। তবে মস্কো দাবি করেছে, যুদ্ধে ৪৯৮ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছে। এই যুদ্ধে গুরুতর আহত হয়েছে অন্তত এক হাজার ৫৯৭ সেনা। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তৃতায় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগর কোনাশেনকভ এসব তথ্য তুলে ধরেন। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর এই প্রথম যুদ্ধে হতাহতের তথ্য জানালো রাশিয়া। এ সময় মেজর জেনারেল ইগর কোনাশেনকভ ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ান বাহিনীর ‘বহু সেনা’ হতাহতের তথ্যকে বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেন। একইসঙ্গে নিহত ও আহত রুশ সেনাদের পরিবারকে সব ধরনের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের দাবি, রুশ সেনাদের অভিযানে ইউক্রেনের দুই হাজার ৮৭০ জন সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন তিন হাজার ৭০০ জনের বেশি। এছাড়া ৫৭২ ইউক্রেনীয় সেনাকে আটক করেছে রুশ সেনাবাহিনী। তবে ইউক্রেনের দাবি, যুদ্ধে রাশিয়ার চার হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছে। অসংখ্য সেনা সদস্য আহত এবং বেশ কিছু সেনা আটক হয়েছে। তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানানো হয়নি। কিয়েভের দাবি, যুদ্ধে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার, ২১৭টি ট্যাংক, ৩০টি যুদ্ধবিমান, ৮৪৬টির বেশি সাঁজোয়া যান ও ৩১টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।