ইপেপার । আজ বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় আটক

ধর্ষণ মামলায় কারাগারে টায়ার ইলিয়াস

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪
  • / ৭৫ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ার পর আলোচিত ব্যবসায়ী টায়ার ইলিয়াসকে ধর্ষণ মামলায় আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার ভুক্তভোগী ওই নারী ধর্ষণের অভিযোগে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ওই মামলায় ইলিয়াসকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। গ্রেপ্তার ইলিয়াস (৫৫) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দৌলতদিয়াড় সর্দারপাড়ার মৃত নিয়ামত সর্দারের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর সঙ্গে টায়ার ইলিয়াসের পূর্বে থেকে পরিচয় ছিল। ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইলিয়াস ওই নারীকে ফোন দিয়ে জরুরি কথা আছে বলে তার অবস্থান জানতে চান। ওই নারী গুলশান পাড়ায় তার বাড়িতে অবস্থান করছে জানালে ইলিয়াস ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে দরজা নক করেন। ওই নারী দরজা খুলে দিলে রুমের ভেতরে প্রবেশ করেন ইলিয়াস। পরে এক গ্লাস পানি খেতে চান তিনি। পানি খেয়ে কথা শেষ করে চলে যেতে বললে, ইলিয়াস ওই নারীকে তার পাশে বসতে বলেন। ওই নারী পাশে বসলে ইলিয়াস তাকে জাপটে ধরেন। এসময় ইলিয়াস বলে, অনেকদিন তোমাকে ফলো করছি, আজ সুযোগ পেয়েছি বলেই ওই নারীর গলা চেপে ধরেন। এক পর্যায়ে জামা-কাপড় খুলে তাকে ধর্ষণ করেন বলে ওই নারী লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন। ধর্ষণের পর ইলিয়াস বাথরুমে গেলে ওই নারী বাথরুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে তার আত্মীয়-স্বজনকে খবর দেয়। কিছুক্ষণ পর ওই নারীর লোকজন এসে ইলিয়াসকে আটকে রাখে। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এদিকে ধর্ষণ মামলায় ইলিয়াসকে আদালতে সোপর্দ করার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী ধর্ষণের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে সংশ্লিষ্ট মামলায় গতকালই তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এদিকে ওই নারী এবং তার স্বজনরা অভিযোগ করেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিলেন ইলিয়াস। ইলিয়াসকে আটকের পরে আরও জানা যায়, দৌলতদিয়াড় এলাকার ইমি মটরসের স্বত্ত্বাধিকারী ইলিয়াস হোসেন প্রায়ই গুলশানপাড়ার ওই নারীর বাড়িতে যাওয়া আসা করতেন। তারা শারীরিক সম্পর্কেও মিলিত হতেন। বিয়ের কথা বললেই বিষয়টি এড়িয়ে যেতেন ইলিয়াস। কৌশলে এতদিন ওই নারীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন ইলিয়াস।

শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে যান। গত শুক্রবার রাতে ইলিয়াস ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করলে পূর্বে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা স্থানীয় লোকজনসহ ওই নারীর স্বজনরা তাকে পাকড়াও করে রাখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ইলিয়াসকে থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ। অবশেষে ওই নারী ধর্ষণের অভিযোগ করলে সংশ্লিষ্ট মামলায় তকে আটক দেখিয়ে গতকালই তাকে আদালতে সোপর্দ করে সদর থানার পুলিশ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় আটক

ধর্ষণ মামলায় কারাগারে টায়ার ইলিয়াস

আপলোড টাইম : ০৯:৪৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ার পর আলোচিত ব্যবসায়ী টায়ার ইলিয়াসকে ধর্ষণ মামলায় আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার ভুক্তভোগী ওই নারী ধর্ষণের অভিযোগে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ওই মামলায় ইলিয়াসকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। গ্রেপ্তার ইলিয়াস (৫৫) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দৌলতদিয়াড় সর্দারপাড়ার মৃত নিয়ামত সর্দারের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর সঙ্গে টায়ার ইলিয়াসের পূর্বে থেকে পরিচয় ছিল। ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইলিয়াস ওই নারীকে ফোন দিয়ে জরুরি কথা আছে বলে তার অবস্থান জানতে চান। ওই নারী গুলশান পাড়ায় তার বাড়িতে অবস্থান করছে জানালে ইলিয়াস ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে দরজা নক করেন। ওই নারী দরজা খুলে দিলে রুমের ভেতরে প্রবেশ করেন ইলিয়াস। পরে এক গ্লাস পানি খেতে চান তিনি। পানি খেয়ে কথা শেষ করে চলে যেতে বললে, ইলিয়াস ওই নারীকে তার পাশে বসতে বলেন। ওই নারী পাশে বসলে ইলিয়াস তাকে জাপটে ধরেন। এসময় ইলিয়াস বলে, অনেকদিন তোমাকে ফলো করছি, আজ সুযোগ পেয়েছি বলেই ওই নারীর গলা চেপে ধরেন। এক পর্যায়ে জামা-কাপড় খুলে তাকে ধর্ষণ করেন বলে ওই নারী লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন। ধর্ষণের পর ইলিয়াস বাথরুমে গেলে ওই নারী বাথরুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে তার আত্মীয়-স্বজনকে খবর দেয়। কিছুক্ষণ পর ওই নারীর লোকজন এসে ইলিয়াসকে আটকে রাখে। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এদিকে ধর্ষণ মামলায় ইলিয়াসকে আদালতে সোপর্দ করার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী ধর্ষণের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে সংশ্লিষ্ট মামলায় গতকালই তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এদিকে ওই নারী এবং তার স্বজনরা অভিযোগ করেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিলেন ইলিয়াস। ইলিয়াসকে আটকের পরে আরও জানা যায়, দৌলতদিয়াড় এলাকার ইমি মটরসের স্বত্ত্বাধিকারী ইলিয়াস হোসেন প্রায়ই গুলশানপাড়ার ওই নারীর বাড়িতে যাওয়া আসা করতেন। তারা শারীরিক সম্পর্কেও মিলিত হতেন। বিয়ের কথা বললেই বিষয়টি এড়িয়ে যেতেন ইলিয়াস। কৌশলে এতদিন ওই নারীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন ইলিয়াস।

শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে যান। গত শুক্রবার রাতে ইলিয়াস ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করলে পূর্বে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা স্থানীয় লোকজনসহ ওই নারীর স্বজনরা তাকে পাকড়াও করে রাখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ইলিয়াসকে থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ। অবশেষে ওই নারী ধর্ষণের অভিযোগ করলে সংশ্লিষ্ট মামলায় তকে আটক দেখিয়ে গতকালই তাকে আদালতে সোপর্দ করে সদর থানার পুলিশ।