চুয়াডাঙ্গা শহরের কোথাও ছিল না পুলিশ, আগুন নেভাতেও যায়নি ফায়ার সার্ভিস
দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিহত করতে লাঠি হাতে স্থানীয় জনতা- আপলোড টাইম : ০৫:৪০:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪
- / ৭১ বার পড়া হয়েছে
সারাদিনের ঘটনায় দুপুরের পর থেকেই শহরের কোথাও পুলিশকে দেখা যায়নি। রাতে সেনা বাহিনীর দু-একটি টহল দেখা গেছে। তবে দিনব্যাপী শহর ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়াই। তবে সাধারণ মানুষের কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার দুপুরের পর থেকেই সাধারণ মানুষ রাস্তায় নামতে শুরু করেন। কারফিউ ভেঙ্গে জয় উল্লাস, শেখ হাসিনার পদত্যাগ তাই। এই অবস্থায় শহরজুড়ে দেখা যায় নানা চিত্র। রিকশাওয়ালারা বাইরে বের হয়েছেন, ইজিবাইক চলছে। দু-এক স্থানে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ছিল। কিছু স্থান বাদে সবদিকেই পরিস্থিতি শান্ত ছিল। রাস্তায় শুধুই জয়-উল্লাস। এর সাথে শহরের কিছু কিছু স্থানে গভীর রাত পর্যন্ত স্থানীয়দের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। লাঠি হাতে দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিহত করতেই তাদের এই অবস্থান। পুলিশ না থাকলেও জানমালের রক্ষায় সাধারণ মানুষকে দেখা গেছে। একই সাথে গভীর রাত পর্যন্ত শহরের সেনা বাহিনীর অবস্থান দেখা গেছে।
এদিকে, শহরের কোর্ট মোড়ে সন্ধ্যা রাতে অল্প কিছু পুলিশ সদস্য দেখা যায়। তাছাড়া পুলিশ সদস্যদের অবস্থান শহরের ছিল না। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার গেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের গেট, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের গেট সবসময় বন্ধ পাওয়া গেছে।
অপর দিকে, এই ৫ই আগস্টের রাত ছিল চরম চিন্তার রাত। সারাদেশের মানুষই চিন্তায় ছিলেন, তথা চুয়াডাঙ্গা জেলার বেশকিছু স্থান থেকে খবর এসেছে রাতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের যেসব নেতা-কর্মীরা জেলাতেই আত্মগোপনে ছিলেন, তারা গভীর রাতে কিছু স্থানে হামলা চালিয়েছেন। ভাঙচুর করেছেন। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় প্রাঙ্গন ও টাউন ফুটবল মাঠে রাতে কিছু দুষ্কৃতিকারী একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করেন। তবে সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থানের বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে আর সেনাবাহিনীর টহল দেখে তারা সেখান থেকে চলে গেছেন বা অন্য কোথাও আছেন কি না, সেটা এই সংবাদটি লেখা অব্দি রাত ৩টা পর্যন্ত জানা যায়নি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গিয়ে দর্শনার এক রোগীকে পাওয়া যায়। তিনি জানান, দর্শনা থেকে আসতে কোনো সমস্যা হয়নি। সাধারণ মানুষের কোথাও কোনো সমস্যাও হয়নি। এছাড়াও, শহরের আনন্দ মিছিলে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষকে দেখা গেছে। আওয়ামী লীগের কিছু নেতার অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটলেও সাধারণ মানুষের জানমালের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানা গেছে। কোথাও থেকে সাধারণ মানুষের ক্ষতির সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। সারা চুয়াডাঙ্গায় বেশ কয়েকটি স্থানে অগ্নিসংযোগ করা হলেও ফায়ার সার্ভিস একটিমাত্র স্থানে সেবা দিয়েছে। একেবারেই নির্বিকার চরিত্রে দেখা গেছে তাদেরও। একটি বাড়িতে মানুষের আটকা পাওয়ার খবর, নিদারুণ অনুরোধে ফায়ার সার্ভিস গেছে। এছাড়া কোথাও তারা আগুন নেভাতে যায়নি।