দুর্গা পূজা উপলক্ষে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
দামুড়হুদা উপজেলায় হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা প্রতি পূজা মণ্ডপে সাজানো-গোছানোর কাজ শুরু করেছে। দামুড়হুদা উপজেলায় ২২টি পূজা মণ্ডপ থাকলেও প্রতিমা তৈরি হচ্ছে ২১টিতে। পুড়াপাড়া হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা সমন্বয়হীনতার কারণে এবার তারা প্রতিমা তৈরি করছে না। একটি প্রতিমা তৈরি করতে ৬ দিন সময় লাগে। তাতে ব্যয় হয় ১৬ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এবার দামুড়হুদা উপজেলায় প্রতিমার তৈরির কাজ চলছে বিষ্ণপুর কর্মকারপাড়া পূজা মণ্ডপ, গোপালপুর দাসপাড়া, কালিয়াবকরি শ্রীকৃষ্ণ মন্দির, ছুটিপুর দাশপাড়া, কার্পাসডাঙ্গা সর্দ্দার পাড়া, কুড়ুলগাছি, চণ্ডিপুর, পারকৃষ্ণপুর, জয়রামপুর দাশপাড়া ডুগডুগি, ছোট দুধপাতিলা, দামুড়হুদা মাতৃ মন্দির, চিৎলা দাসপাড়া, দামুড়হুদা দাসপাড়া, গোবিন্দহুদা দাসপাড়া, জগ্ননাথপুর বাজারপাড়া, আমতলা হরিজন পাড়া, দর্শনা কেরু পূজা মণ্ডপ, দর্শনা পুরাতন বাজার, কালিদাশপুর বাগদি পাড়া, কালিদাসপুর দাসপাড়াসহ আরও অনেক জায়গায়।
খুলনা থেকে আসা কারিগর বন্ধন রায় বলেন, ‘প্রতিমা তৈরি করা আনেক কষ্টের কাজ। আর কষ্ট হলেও কেনো ব্যাপার না। কারণ এটা আমাদের পেশা। আমরা চারজন কাজ করে এ বছর ৬টি প্রতিমার কাজ শেষ করতে পারব। আমরা প্রতিমা তৈরির ওপর দাম ঠিক করি। তবে একটি প্রতিমা তৈরি করতে ১৬ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে থাকি।’
পুড়াপাড়ার রাধাকৃষ্ণ পূজা মণ্ডপের সভাপতি শ্রী অসীম কুমার পাল জানান, ‘আমাদের নিজেদের ভেতর সমন্বয়হীনতার কারণে এবার আমরা প্রতিমা তৈরি করছি না।’
দামুড়হুদা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি শ্রী উত্তম রজ্জন দেবনাথ বলেন, ‘এবার দামুড়হুদা উপজেলায় ২১টি প্রতিমা তৈরি হচ্ছে। তবে পুড়াপাড়ায় কেন তারা প্রতিমা তৈরি করছে না, তা আমার জানা নেই।’
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, দামুড়হুদা থানাধীন ১৩টি পূজা মণ্ডপ আছে। তার মধ্যে কিছু পূজা মণ্ডপ গুরুত্বপূর্ণ আছে। সেগুলো পুলিশের নজরদারিতে আছে।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, প্রতেক ইউনিয়নের বিট পুলিশিং অফিসারদের নির্দেশনা দেওয়া আছে, যার যার এলাকায় প্রতিমা তৈরি হচ্ছে, সেগুলো যাতে তারা খেয়াল রাখে।