দামুড়হুদায় দুই ভাইয়ের বিরোধ মিটাতে যাওয়ায় আব্দুল মজিদ (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের পাদবিলের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা গুরুতর জখম অবস্থায় আব্দুল মজিদকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। জখম আব্দুল মজিদ জয়রামপুর বাড়–ইপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, আব্দুল মজিদের দুই ভাগ্নে সালাইদ্দীন বাবু (৩৫) ও হাবিবুর রহমান হাবুর (৩০) মধ্যে জমির বণ্টন নিয়ে বিরোধ চলে আসিছিল। এরই মধ্যে গতকাল সন্ধ্যায় বাবু তার ছোট ভাই হাবুর খেতের ভুট্টা গাছ কেটে নষ্ট করে। এ নিয়ে মাঠের মধ্যে দুই ভাইয়ের মধ্যে বাগবিত-ার সৃষ্টি হলে তাদের মামা বিরোধ মেটাতে যায়। এসময় মামা আব্দুল মজিদের ওপর রাগন্বিত হয়ে বাবু তাকে একটি হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা শেষে চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি রাখেন।
জখম আব্দুল মজিদের ভাবী নাছিমা বেগম বলেন, আব্দুল মজিদের বোনের দুই ছেলে সালাইদ্দীন বাবু ও হাবিবুর রহমান হাবুর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে আজ (গতকাল) সন্ধ্যায় সালাইদ্দীন বাবু পাদবিলের মাঠে তার ছোট ভাই হাবিবুর রহমান হাবুর ভুট্টাগাছ কেটে নষ্ট করে। খবর পেয়ে হাবিবুর রহমান হাবু মাঠে যায় ও তার খেতের ভুট্টাগাছ কেটে ফেলায় বড় ভাইয়ের সঙ্গে বাগবিত-ার সৃষ্টি হয়। এসময় দুই ভাইয়ের বিরোধ মেটাতে তাদের মামা আব্দুল মজিদ মাঠে যায়। এসময় রাগান্বিত হয়ে বাবু তার হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে আব্দুল মজিদকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। বাবু অনেক বদমেজাজী, সে সকলের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। কেউ তাকে ভালো বলে না।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জুনিয়র সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. এহসানুল হক তন্ময় বলেন, ‘রোগীর পিঠে দুটি গুরুতর জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। জরুরি বিভাগ থেকে তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা শেষে সার্জারি বিভাগে ভর্তি রাখা হয়েছে। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত।’