দামুড়হুদা ছুটিপুর-পোতারপাড়ায় অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে
- আপলোড টাইম : ১০:৫২:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুলাই ২০১৮
- / ৮০০ বার পড়া হয়েছে
বালি উত্তোলনের অভিযোগ : এলাকাবাসীর গণপিটিশন!
রোকনুজ্জামান রোকন: দামুড়হুদার ছুটিপুর-পোতারপাড়ায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলনের অভিযোগ তুলে গণপিটিশন দিয়েছে এলাকাবাসী। বালি উত্তোলন বন্ধসহ উত্তোলনকারির শাস্তির দাবিতে ছুটিপুর-পোতারপাড়া এলাকার সাধারণ গ্রামবাসি বিভিন্ন সরকারি দফতরে এই গণপিটিশন জমা দেয়। সরেজমিনে ও এলাকাবাসীর অভিযুক্তের ভিত্তিতে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নের পোতারপাড়া গ্রামের মৃত ইমাজ উদ্দীনের ছেলে মো. শান্তি রহমান ছুটিপুর-পোতারপাড়ার মধ্যবর্তী বেলে মাঠ নামকস্থানে ছুটিপুর থেকে গোকুলখালী অভিমূখের একমাত্র সড়কের পাশে কয়েক বছর ধরে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন। তাকে সাধারন গ্রামবাসী সড়ক বাচাঁতে এবং পরিবেশ রক্ষায় অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধ করার জন্য বার বার তাগিদ দিলে শান্তি রহমান গ্রামবাসীর কথা আমলে নেননি। বরং শান্তি রহমান নিজেকে সরকারি দলের একজন নেতা দাবি করে দিনের পর দিন অবৈধ বালি উত্তোলন করে আসছেন।সাধারন কৃষক ও পথচারীদের দাবি, প্রতিনিয়ত এইভাবে বালি উত্তোলনের ফলে রাস্তাটি পুকুরের মধ্যে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। ছুটিপুর-পোতারপাড়ার কয়েকজন সাধারন কৃষকের সাথে কথা বললে, তারা জানায় বালি উত্তলনকারি শান্তি রহমানকে নিষেধ করলে তিনি ক্ষমতার বড়াই দেখিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেন। এমনকি অভিযোগকারিদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে শান্তির রহমানের বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, শান্তি রহমান নিজেকে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা দাবি করেন। এমপিসহ বিভিন্ন দফতর তার কথায় চলে এবং লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে এই বালি উত্তোলন করছেন বলেও শান্তি রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।সাধরন কৃষকেরা অভিযোগ করে আরো জানান, বর্ষার সময় পানি বের হওয়ার পথ না থাকায় শত শত বিঘা ফসল ডুবে যাচ্ছে। এরমধ্যে ফসলি জমির পাশে এভাবে বালি উত্তোলন ফসলের আরো ক্ষতিসাধন করছে।
গণপিটিশনের অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে, গণপিটিশন চলাকালীন সময়ে শান্তিসহ তার নেতত্বে ১০/১৫ জনের একদল মানুষ বিভিন্ন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সাধারন জনগণসহ বালি উত্তোলন জায়গার চারদিকের জমির মালিকদের বিভিন্ন হুমকী দেয়। অনেককে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া বলে গণপিটিশনের অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে।এলাকার বেশকিছু প্রবীণ ব্যক্তি জানান, অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে, তা লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে শান্তি আজ অনেক টাকার মালিক হয়েছে। আলিশান বাড়ি-গাড়িসহ সবিই করেছে। অথচ আমরা দেখেছি একসময় শান্তির তিন বেলা পেটপুরে খাওয়ার টাকা ছিলোনা।এবিষয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের অভিযোগে অভিযুক্ত শান্তির সাথে কথা বললে তিনি জানান, অনেক আগে বালি উত্তোলন করে বিক্রয় করেছি। এখন উত্তোলন বন্ধ আছে। অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা, আমাকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে একটি মহল এই ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।