দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দহুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক (কাজী) কুতুব উদ্দীন নবম শ্রেণীর ছাত্র মনিরুল(১৫) ও জাকিরুল(১৫) জমজ দুই ভাইকে উত্তম মাধ্যম বেত্রাঘাত করে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় গোবিন্দহুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ক্লাস রুমে এই ঘটনা ঘটে। এঘটনায় গোবিন্দহুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র রোল নং ১ জাকিরুল (১৫) চিৎলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ও মনিরুল(১৫) প্রথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী ফিরেছেন। এব্যাপারে গোবিন্দহুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ মান্নান নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতকাল শনিবার ধর্মীয় শিক্ষক (কাজী) কুতুব উদ্দীন নবম শ্রেণীর ক্লাস রুমে মনিরুল (১৫) কে তিনটি প্রশ্ন করলে মনিরুল দুটি প্রশ্নের উত্তর দেয় আর একটি প্রশ্নেœর উত্তর না দিতে পারায় এঘটনা ঘটে। এসময় আমি বিষয়টি জানতে পেরে দুই ছাত্র ও ধর্মীয় শিক্ষক কে নিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্ঠা করি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক (কাজী) কুতুব উদ্দীন নবম শ্রেণীর দ্বিতীয় পিরডে ক্লাস নিতে যায়। ক্লাস নেওয়ার এক সময় গোবিন্দহুদা গ্রামের মজিবার রহমানের ছেলে মনিরুলকে(১৫) প্রশ্ন করে হযরত মুহাম্মদ (স:) এর বাবার নাম কি? সঠিক উত্তর দেয় মনিরুল(১৫) পরে ২য় বার প্রশ্ন করে হযরত মুহাম্মদ (স:) এর দাদার নাম কি? হযরত মুহাম্মদ (স:) এর দাদার নাম সঠিক বললে ৩য় বার আবার প্রশ্ন করে তার দাদার নাম কি? এর উত্তর দিতে না পেরে মনিরুল(১৫) বলে আমার দাদার দাদার নামই আমি জানিনা। এতে শিক্ষক (কাজী) কুতুব উদ্দীন ক্ষিপ্ত হয়ে মনিরুল কে বেত দিয়ে বেধড়ক পিটাতে থাকে একসময় তার জমজ ছোট ভাই একই ক্লাসের রোল নং ১ জাকিরুল প্রতিবাদ করে বলে স্যার ওকে এভাবে মারছেন কেন। একথা বলায় শিক্ষক তখন মনিরুলকে ছেড়ে দিয়ে জাকিরুল কে বেধড়ক পেটায় এমন এক পর্যায় অসাবধানতা বসত শিক্ষক কুতুব উদ্দীন পড়ে গিয়ে তার সামান্য মাথা কেটে যায়। এসময় প্রধান শিক্ষক জানতে পেরে দুই ছাত্র ও ধর্মীয় শিক্ষক কে অফিসে ডেকে বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্ঠা করে। এরই এক ফাকে শিক্ষক কুতুব উদ্দীন তার মাথা কেটে গিয়েছে বুঝতে পেয়ে সকল শিক্ষকের সম্মুখে অফিস কক্ষে উভয়কে আবারো বেধড়ক পেটাই। এমন এক পর্যায় জাকিরুল(১৫) অফিস কক্ষেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এসময় তার সহপাঠিরা দুই ভাইকে বিদ্যালয়ের টিউবয়েলের পানি মাথায় দেওয়ার পর দামুড়হুদার চিৎলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। এব্যাপারে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি লুৎফর রহমান জানান, ধর্মীয় শিক্ষক কাজটা ঠিক করেনি আমরা তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লে¬খ্য, আছে, ধর্মীয় শিক্ষক (কাজী) কুতুব উদ্দীন বাল্যবিবাহ পড়ানোর অপরাধে দুইবার হাজত খেটে এসেছেন।