হেলাল উদ্দীন, জয়রামপুর:
দামুড়হুদা উপজেলায় এবার কচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন হয়েছে ভালো এবং কচু একটি সুস্বাদু সবজি হওয়ায় দামও আছে ভালোই। দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন বাজারসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে কচু বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন মাঠেই এবার কম-বেশি কচু চাষ করেছেন কৃষকেরা। এমন একজন জয়রামপুর আমতলা মাঠের কৃষক জসিম উদ্দীন (৪৫)। তিনি বলেন, ‘আমি এবার দুই বিঘা জমিতে কচু চাষ করেছি। বিঘা প্রতি কচুর খরচ হয়েছে ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা। আশা করছি বিঘাপ্রতি ৬০-৭০ মন কচুর ফলন পাব। কিন্তু লকডাউনের কারণে এখন সকল সবজির সাথে সাথে কচুর দামও কম। তবে লকডাউন উঠে গেলে ভালো দাম পাব বলে মনে করি।’
দামুড়হুদা উপজেলার ডুগডুগী গ্রামের কচু চাষি রাশেদ (২৫) বলেন, ‘আমি এক বিঘা জমিতে কচু চাষ করেছি। রোগ-বালাই কম থাকায় খুব ভালো ফলন হয়েছে। বর্তমানে কচুর দাম কম, তাই কিছু দিন ঘরে রেখে পরে বিক্রি করব। আশা রাখি, কচুর ভালো দাম পাব। অন্যবার জমি থেকে পাইকারি ৫০-৫৪ টাকা দরে কচু বিক্রি করি।’
এদিকে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমি আমার চাকরির সুবাদে বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন ফসল দেখেছি। কিন্তু কচুটি অন্যান্য জায়গায় চাষ কম হয়। কিন্তু দামুড়হুদা উপজেলার কৃষকদের নিজ উদ্যোগে কচু চাষে আগ্রহী বেশি। আমি বিভিন্ন মাঠে ঘুরে কচুর ভালো ফলন লক্ষ্য করেছি। এ বছর দামুড়হুদা উপজেলায় কচু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১০৫ হেক্টর। কচুর লক্ষমাত্রা অর্জন হয়েছে ৯৪ হেক্টর জমি।’
তিনি আরও জানান, ‘কচুতে কৃষকের প্রণোদনা নেই। কিন্তু দামুড়হুদা উপজেলার কচু চাষিদের আরও বেশি কচু উৎপাদনে আগ্রহী করতে আমি কচু সবজি নিয়ে সরকারের ওপর মহলে দৃষ্টি আকর্ষণ করব।’
