প্রতিবেদক, দামুড়হুদা: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নের নবদিগন্ত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সুবিধাবঞ্চিত সদস্যরা সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের অভিযোগ তুলেছে। এবিষয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সমিতির সুবিধাবঞ্চিত সদস্যরা। গতকাল শনিবার বিকেলে দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নের হোগলডাঙ্গা গ্রামের মরাগাং নদীর পাড়ে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, গত দুই বছর যাবত নবদিগন্ত মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড মরাগাং নদীতে মৎস্য চাষ করে আসছে। দুই বছরে ব্যয় বাদেও ১ কোটি টাকার মতো আয় হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী মৎস্য আহরণ শেষে লভ্যাংশ সমিতির সদস্যদের মধ্যে বন্ঠন করে দেওয়ার কথা। কিন্তু গত দুই বছর থেকে সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ও স্থানীয় এক নেত সহ কতিপয় সদস্য মিলে প্রায় ১ কোটি টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে বলে প্রতিবাদ সমাবেশে অভিযোগ তোলে সুবিধাবঞ্চিত সদস্যরা। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন সমিতির সদস্য আজিবার রহমান, উসমান আলী, মামুনুর রশীদ মামুন, আবু জাফর।
সমাবেশে সমিতির সুবিধাবঞ্চিত সদস্যরা বলেন, আগামীতে মাছ বিক্রি করে যে লাভ হবে তা যেন প্রতিটি সদস্যদের সঠিক ভাবে বন্ঠন করা হয়। এবং সকল সদস্যদের কে আয় ব্যায়ের হিসেব দেয়া হয়। বক্তব্যে সদস্যরা আরও বলেন, ‘বর্তমান সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ও স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতা শুধু মাছ বিক্রিই না, ঝিনুক বিক্রির টাকাও ভোগ করেছেন। আমাদেরকে ১ কেজি মাছ খেতেও দেয় না তাঁরা। যখনি মাছ ধরার সময় হয়, তখনি নতুন নাটক করে আমাদেরকে ডেকে নিয়ে মিটিং করে। বলে এবার মাছ বিক্রির পর হিসেব করে সঠিকভাবে বন্ঠন করা হবে। গত ছ’মাস যাবত মরাগাং নদীর ডে গার্ড,’ নাইট গার্ডের বেতনও দেয়নি। আগামী দিনগুলোতে আমাদের সুবিধা বঞ্চিত সদস্যদের যেন আর অধিকার হরণ না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এবিষয়ে নবদিগন্ত মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির লিমিটেড সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মিটিং করেছি এবং উপজেলা চেয়ারম্যানও জানে। বিস্তারিত আমার ছেলের গোলাম রসুলের কাছে জানেন।
ছেলে গোলাম রসুল জানান, নতুন যাদের নেয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকে বিশ হাজার টাকা নিয়ে আলাদা চুক্তিতে নেওয়া হয়েছে। নতুন সদস্যরা মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাদেরকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। আমরা রেজুলেশন ইউএনও মহোদয় কে দেখিয়েছি।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা বেগম বলেন, বিষয়টা আমার জানা নাই। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি (প্রশাসনিক কর্মকর্তা) কে যোগাযোগ করতে বলেছিলাম।আর যদি তাঁরা বলে আমাকে রেজুলেশন দেখিয়েছে তাহলে তারা বিষয়টি মিথ্যা বলেছে।
