
প্রতিবেদক, কার্পাসডাঙ্গা:
দামুড়হুদা উপজেলার আটকবরে চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আয়োজনে গুণীজন সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা একটায় আটকবর শহিদ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এ সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গরীব রুহানী মাসুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ পরবর্তী যেকোনো সরকারের চেয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি মর্যাদা দিয়েছে। সম্মানিত করেছেন। পাকিস্তানি শাসন-শোষনের কবল থেকে এ দেশকে মুক্ত করতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করেছেন এবং দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞাটি আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ সংজ্ঞা।’
অনুষ্ঠানে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গুণীজন সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সভায় বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, ‘আমি পুলিশ সুপার হিসেবে সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বটে। তবে আমার মূল পরিচয় আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি এ বঙ্গের বরেন্দ্র বীর বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাঙালি জাতি বরণ করেছিল সেই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে। যিনি তাঁর ২৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে ৪ হাজার ৬৮২টি দিন কারাবরণ করেছেন শুধুমাত্র বাঙালি জাতির জন্য। তিনি তাঁর স্বপ্নপূরণের পাথেয় হিসেবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া তৎকালীন বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিকে মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকা নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করেছিলেন। সেই জায়গা থেকে বাংলাদেশ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে বর্তমান বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হতে চলেছে। স্মার্ট বাংলাদেশকে আরো স্মার্ট করে গড়ে তুলতে এ দেশের মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের দায়িত্ব সবচাইতে বেশি।’
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ফাতেহ্ আকরাম, চুয়াডাঙ্গা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. বিল্লাল হোসেন, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস (ওসি) ফেরদৌরস ওয়াহিদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা।