ইপেপার । আজ সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

দর্শনায় হেফজ বিভাগের শিক্ষক কর্তৃক ছাত্র জখম!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৩৩:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুলাই ২০১৮
  • / ৪৫২ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস: দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় জিহাদ হোসেন (১০) নামে হেফজ বিভাগের এক ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে কেরুজ হাফিজিয়া মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক জুবায়ের হোসেনের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গত রবিবার ফজরের নামাজের পর কেরুজ হাফিজিয়া মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। জিহাদ ওই মাদরাসার হেফজ বিভাগের ১৮তম পারার হাফেজ ও দর্শনার পরানপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। জানা যায়, রবিবার ফজরের নামাজের পর জিহাদের ঘুমের জের থাকায় পড়া লেখার প্রতি তেমন আগ্রহ ছিলোনা। এ ঘটনা দেখে মেজাজ গরম শিক্ষক জুবায়ের তাকে সামনে ডাকে। পরে তাকে বলে পড় তাড়াতাড়ি নইলে কপালে বিপদ আছে। এ কথা বলেয় উত্তেজিত হয়ে কিশোর ছাত্র জিহাদকে বেধড়ক পেটায়। এর এক পর্যায়ে সে কান্না জড়িত কন্ঠে বলে হুজুর আমাকে মাফ করেন তবুও তার কোনো কথার কোনো কর্ণপাত না করে পেটাতে থাকে। পরে শিক্ষক ছাত্রের অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে ছেড়ে দেয়। এসব ঘটনার পর বিষয়টি ছাত্রের বাবার কাছে পৌছালে তাকে মাদরাসা থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় গত একমাস পূর্বেও এই মেজাজ গরম শিক্ষক উক্ত ছাত্রকে একইভাবে নির্যাতন করলে ছাত্রের অভিভাবক মাদরাসার শিক্ষকদের জানালে তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। এসব কোমলমতি ছাত্রদের দ্বারা “পান খোর শিক্ষক” তাদের দিয়ে পানের কোওটা নিয়ে আসে আবার কোনো পাত্রে পানের পিক ফেলে ছাত্রদের বাইরে ফেলে আসতে বলে। এ ব্যাপারে উক্ত মাদরাসার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন বলেন, ঘটনার সময় আমি ওখানে ছিলাম। তাকে জখম করা হয়নি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক জুবায়েরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে পড়া পারেনি বিধায় তাকে একটু বেত্রাঘাত করেছিলাম। এটাতো আমি শিক্ষক হিসাবে তার ভালোর জন্য শাসন করেছি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দর্শনায় হেফজ বিভাগের শিক্ষক কর্তৃক ছাত্র জখম!

আপলোড টাইম : ১১:৩৩:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুলাই ২০১৮

দর্শনা অফিস: দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় জিহাদ হোসেন (১০) নামে হেফজ বিভাগের এক ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে কেরুজ হাফিজিয়া মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক জুবায়ের হোসেনের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গত রবিবার ফজরের নামাজের পর কেরুজ হাফিজিয়া মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। জিহাদ ওই মাদরাসার হেফজ বিভাগের ১৮তম পারার হাফেজ ও দর্শনার পরানপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। জানা যায়, রবিবার ফজরের নামাজের পর জিহাদের ঘুমের জের থাকায় পড়া লেখার প্রতি তেমন আগ্রহ ছিলোনা। এ ঘটনা দেখে মেজাজ গরম শিক্ষক জুবায়ের তাকে সামনে ডাকে। পরে তাকে বলে পড় তাড়াতাড়ি নইলে কপালে বিপদ আছে। এ কথা বলেয় উত্তেজিত হয়ে কিশোর ছাত্র জিহাদকে বেধড়ক পেটায়। এর এক পর্যায়ে সে কান্না জড়িত কন্ঠে বলে হুজুর আমাকে মাফ করেন তবুও তার কোনো কথার কোনো কর্ণপাত না করে পেটাতে থাকে। পরে শিক্ষক ছাত্রের অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে ছেড়ে দেয়। এসব ঘটনার পর বিষয়টি ছাত্রের বাবার কাছে পৌছালে তাকে মাদরাসা থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় গত একমাস পূর্বেও এই মেজাজ গরম শিক্ষক উক্ত ছাত্রকে একইভাবে নির্যাতন করলে ছাত্রের অভিভাবক মাদরাসার শিক্ষকদের জানালে তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। এসব কোমলমতি ছাত্রদের দ্বারা “পান খোর শিক্ষক” তাদের দিয়ে পানের কোওটা নিয়ে আসে আবার কোনো পাত্রে পানের পিক ফেলে ছাত্রদের বাইরে ফেলে আসতে বলে। এ ব্যাপারে উক্ত মাদরাসার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন বলেন, ঘটনার সময় আমি ওখানে ছিলাম। তাকে জখম করা হয়নি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক জুবায়েরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে পড়া পারেনি বিধায় তাকে একটু বেত্রাঘাত করেছিলাম। এটাতো আমি শিক্ষক হিসাবে তার ভালোর জন্য শাসন করেছি।