দর্শনা অফিস: ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের প্রতিটি এলাকায় শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সরকার দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। দেশকে উন্নয়নের শিকড়ে পৌঁছাতে প্রত্যন্ত গগ্রামগঞ্জে শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। এ ধারাবাহিকতায় ইতঃমধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করেছে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এছাড়া সরকার বিভিন্ন সময়ই বলেছে, দেশে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেয়। কিন্তু দর্শনায় মাস তিনেক আগে থেকে দফায় দফায় বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। এছাড়া প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কী অব্যবস্থাপনার কারণেই লোডশেডিং হচ্ছে।
দর্শনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ভুক্তোভোগীদের সূত্রে জানা যায়, আবহাওয়ার পরিবর্তনে পড়ছে ভ্যাপসা গরম। আর এই গরমের মধ্যে দিনের বেলায় বিভিন্ন সময়ে ৪/৫ ঘণ্টা এবং সন্ধ্যা নামার পর থেকে যেকোনো সময়ে ঘণ্টা দেড়েক বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে। কখনো কখনো আবার এর মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এমতাবস্থায় বিদ্যুতের এই অসহনীয় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এছাড়া দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজই বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল। দিনের বেলায় বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে সরকারি-বেসরকারি অফিস, স্কুল-কলেজের শিক্ষাব্যবস্থা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ও রেলবন্দরের কার্যক্রম, বিদ্যুৎ সম্পৃক্ত লেদ ও রাইচমিল কার্যক্রমে ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া রাতের বেলায় বিদ্যুতের লোডশেডিং হলে গোটা শহরে যেন সৃষ্টি হয় ভূতুড়ে অবসস্থা। তা ছাড়া রাতে বিদ্যুত না থাকার কারণে চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ছিচকে চুরি ও ছিনতাইয়ের অসংখ্যা অভিযোগ করছেন ভুক্তোভোগীরা। এছাড়া ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুতের দর্শনা জোনাল অফিসের আওতায় ইতঃপূর্বে এ ধরণের লোডশেডিং ছিল না। নতুন ইনচার্জ আসার পর থেকেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনগণকে। তাই এ জনদুর্ভোগ থেকে বাঁচিয়ে লোডশেডিং কমিয়ে দর্শনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবারহের দাবি তুলেছে দর্শনাবাসী।
এ বিষয়ে দর্শনা পল্লী বিদ্যুত অফিসের ইনচার্জ (এজিএম কম) শামীম উদ্দীন বলেন, বর্ষার সময় লাইনের সমস্যা আছে তাই লোডশেডিং হচ্ছে। আগের মতো এতো রাত ১২টা ১টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে না। তবে আগের ছাড়া লোডশেডিং এখন কম। বর্ষা গেলে লাইন মেরামত করলে কিছুটা লোডশেডিং কমবে।