দর্শনায় কোমল পানিয়ের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে চাচীকে খাওয়ালো দু কিশোর

দর্শনা অফিস: কি ছিলো উদ্দ্যেশ্য? কোমল পানিয়ের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে চাচী ও ৩ বছরের চাচাতো বোনকে খাওয়ানোর পেছনে। দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের মাঝেরপাড়ার জমির উদ্দিনের জমজ দুই ছেলে সাকিব ও সাজিদ সেভেনআপেন সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে তার চাচীকে খেতে দেয়।
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা দক্ষিন চাদঁপুর গ্রামের মাঝের পাড়ার মৃত আজিবার রহমানের সেজো ছেলে দর্শনা বাসস্ট্যান্ডের ভুষিমাল ব্যাবসায়ী জমির উদ্দিনের জমজ ছেলে কেরু উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্র সাকিব ও সাজিদ। তারই আপন চাচা কেরুজ শ্রমিক ফারুকের বাড়িতে ঈদের দিন রাতে বেড়াতে আসে। এসময় তারা দু’ভাই একটি ৫০০ মিলি লিটারের সেভেনআপ নিয়ে এসে চাচী জেসমা খাতুনকে খেতে দেয়।
এসময় চাচী জেসমা খাতুন সেভেনআপের বোতল নিয়ে খাওয়ার পর তার কোলে থাকা ৩বছরের ছোট সন্তানর বোতল দেখে কান্নাকাটি শুরু করে। এসময় শিশুসন্তানকেও খেতে দেন জেসমা খাতুন। তার কিছুক্ষন পর থেকে মাথা ঝিম ঝিম করতে থাকে এবং ছোট মেয়েসহ জেসমা খাতুন কখন ঘুমিয়ে পড়ে বুঝতে পারে না। পরদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠে সাজিদ ও সাকিবকে জিজ্ঞাসা করলে তারা দুই ভাই কোমল পানিয়ের সাথে ঘুমের ঔষুধ মেশানোর কথা স্বীকার করে। তবে ঘুমের ওষুধ মেশানোর কারণ জানতে চাইলে তারা দুজন কোন উত্তর না দিয়েই পালিয়ে যায়।
বিষয়টি জানতে পেরে ফারুক হোসেন পরিবারের পক্ষ থেকে চাপ দিলে তারা বলে, আমরা নিজেরা খাওয়ার জন্য ৬টা ডিসিপ্রিন-১ নামক ঘুমের ঔষধ মিশিয়েছিলাম। এছাড়া আরও ৪টি ঘুমের ঔষধ ঘর থেকে বের করে দেয়। কিন্তু সাকিব ও সাজিদ এঘটনা স্বীকার করার পরও তার পিতামাতা কোনভাবে বিশ্বাস না করে উল্টো ফারুক ও তার স্ত্রী জেসমা খাতুরকে তারা নিজেরাই এধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সন্দেহ করছে। ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।