দর্শনার আকন্দবাড়িয়ায় মাদক বিক্রি নিষেধ করায়
দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৯
- আপলোড টাইম : ০৩:১৮:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ২৮ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৯ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে দর্শনা থানাধীন বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া গ্রামের গাংপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের দর্শনা থানায় পাল্টা-পাল্টি অভিযোগের প্রক্রিয়া চলমান ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভুক্তভোগীদের বরাতে জানা যায়, গতকাল দুপুরে আকন্দবাড়িয়ার গ্রামের শরিফুল ইসলাম প্রতিবেশী লালু মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের মাদক বিক্রি করতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে লালু মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে শরিফুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে শরিফুল ইসলাম (৪৫), তার ছেলে শিলন (২০), নিকটাত্মীয় রবিউল ইসলাম খোকা (৫৫) এবং শামিম (২৩) আহত হন।
অপর দিকে লালু মিয়ার ছেলে মোল্লা হোসেনের দাবি, কচুর শাক তোলাকে কেন্দ্র করে তাদের সাথে শরিফুল পরিবারের কথা কাটাকাটি হয়। পরে শরিফুল ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে মোল্লা হোসেন (৩৫), তার মা হামিদা খাতুন (৬০), বোন শিফা খাতুনসহ (৩০) আরও দুজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের মধ্যে শরিফুল পক্ষের ৪ জনকে চিকিৎসার জন্য জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আর লালু মিয়ার পরিবারের সদস্যদের দামুড়হুদার চিৎলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। স্থানীয়দের ধারণা, এই সংঘর্ষের পেছনে মূলত মাদক ব্যবসা এবং পারিবারিক পূর্ব শত্রুতা জড়িত।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।