
দর্শনা অফিস:
দর্শনা হল্ট স্টেশনে সুন্দরবন আপ ও চিত্রা ডাউন স্টপেজসহ ৬ দফা দাবিতে রেলপথ অবরোধ করা হয়। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করে ‘দর্শনার জন্য আমরা’ নামক একটি সংগঠনের সদস্য ও স্থানীয়রা। এতে বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী রূপসা আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন। খবর পেয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্র্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৬ দফা দাবির বিষয়ে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে সংগঠনটি। পরে আটকে থাকা ট্রেনটি দর্শনা হল্ট স্টেশন ছেড়ে যায়।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা বলেন, ‘দর্শনা হল্ট স্টেশন অবরোধের খবর পেয়ে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে আমি এখানে এসেছি। জেলায় কোনো দাবি থাকলে সেটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সংল্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করতে হয়। আপনারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন। আমরা আপনাদের দাবিগুলো পূরণের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’ এসময় তিনি সরকার এবং জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে অনুরোধ করলে অবরোধ প্রত্যাহার করে সংগঠনটি।
এর আগে অবরোধ চলাকালে বক্তব্য দেন ‘দর্শনার জন্য আমরা’ সংগঠনের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, বাংলাদেশ ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএএম জাকারিয়া আলম, দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আওয়াল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাসার, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দস সবুর, সাম্প্রতিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা একেএম রবিউল আলম বাবু, উদীচী চুয়াডাঙ্গা জেলা সভাপতি হাবিবি জহির রায়হান, দর্শনা গণউন্নয়ন গ্রন্থাগারে পরিচালক আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ জাসদের জেলা সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, ইমরুল কাইয়ুম প্রমুখ।
বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে দর্শনা হল্ট স্টেশনে সুন্দরবন আপ ও চিত্রা ডাউনে স্টপেজসহ দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল স্টেশন থেকে দুটি ট্রেন পুনরায় চালু করা, দর্শনা রেলগেট ও পুরাতন বাজার রেলগেটে আন্ডারপাস নির্মাণ, দর্শনা রেলওয়ে শুল্ক স্টেশনে কন্টিনেয়ার ও ওয়াগেন টার্মিনাল স্থাপন এবং ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস যাত্রবাহী ট্রেন দর্শনা স্টেশনে যাত্রী ওঠা-নামার ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানান। বক্তারা আরও বলেন, ‘আমাদের ৬ দফা দাবির বিষয়ে আগামী ঈদুল ফিতরের আগে সিদ্ধান্তে আসতে হবে। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।’