
দর্শনা অফিস:
দেশের ঐতিহ্যবাহী ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান দর্শনা কেরুজ চিনিকল। এ চিনিকলের শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ৬ দিন। এদিকে, গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান কেরু চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) সাইফুল ইসলাম। এবারের নির্বাচনে চূড়ান্ত ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ১৮৭ জন।
নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী ফিরোজ আহাম্মেদ সবুজ পেয়েছেন ছাতা প্রতীক, তৈয়ব আলী পেয়েছেন বাইসাইকেল, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মাসুদুর রহমান মাসুদ পেয়েছেন চাঁদতারা, মনিরুল ইসলাম প্রিন্স (আনারস), জয়নাল আবেদীন নফর (হারিকেন), সহসভাপতি প্রার্থী এসএম কবির পেয়েছেন কলস, আনিসুর রহমান (গরুর গাড়ি), রেজাউল করিম (টেবিল), মফিজুল ইসলাম (তালাচাবি), সহসম্পাদক প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান (চেয়ার), খবির উদ্দিন পেয়েছেন আম, হাফিজুর রহমান (হাঁস), মহিদুল ইসলাম (হাতপাখা), আতিয়ার রহমান (মাছ), দপ্তর সম্পাদক পদে সালাউদ্দিন সনেট পেয়েছেন উড়োজাহাজ, আবুল হোসেন (হরিণ), প্রচার সম্পাদক পদে ইয়াসির আরাফাত পেয়েছন কুঁড়েঘর, মিজানুর রহমান পেয়েছেন মোরগ, আব্দুল কুদ্দুস পেয়েছেন মোবাইল ফোন, কোষাধ্যক্ষ খন্দকার কায়েশ আব্দুল্লাহ পেয়েছেন রিকশা, আবু সাঈদ পেয়েছেন কাঁঠাল, সদস্যদের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. সেলিম খান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাবর আলী পেয়েছেন বেলচা, আব্বাস আলী (বালতি), আমিনুল ইসলাম (ডাব), ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুল আক্তার পেয়েছেন গোলটুপি, জাহিদুল ইসলাম (ডাব), মোজহারুল (হাতুড়ি), শরিফুল ইসলাম (টর্চ লাইট), শফিকুল ইসলাম (আখের আটি), ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মতিয়ার পেয়েছেন ডাব, কামরুল হাসান (আখের আটি), মাহামুনুল হাসান (টর্চ লাইট), ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাইফুদ্দিন সুমন পেয়েছেন ডাব, সাহেব আলী শিকদার (টর্চলাইট), মোহাম্মদ হারিজুল ইসলাম (আখের আটি), ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জাহিদুল ইসলাম পেয়েছেন গাভী, জাহিরুল ইসলাম (বালতি), ইদ্রিস আলী (ডাব), রবিউল ইসলাম (বেলচা), আজাদ আলী (হাতুড়ি), তারাপদ বিশ্বাস (আখের আটি)। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে প্রার্থীরা কর্মীদের নিয়ে ভোট প্রার্থনায় ছুটতে শুরু করেছেন। বিরামহীন চলছে তাদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা।
প্রতিদিনই দফায় দফায় প্রার্থীদের পক্ষে চলছে ভোট প্রার্থনা। প্রার্থী নিজে কিংবা তার স্বপক্ষে লোকজন রাত দিন যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। তুলে ধরছেন নিজ পছন্দের প্রার্থীর যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা। কুশলবিনিময় আর সালাম আদাব জানিয়ে চাইছেন তাদের মূল্যবান ভোট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে আবেদন নিবেদন। নিজদের পক্ষে ভোট টানতে কাজে লাগানো হচ্ছে ভোটারদের আত্মীয়-স্বজনকে। আত্মীয়তার সম্পর্কে তারা ভোট চাইছেন নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে। ভোট যুদ্ধে বিজয়ী হতে চালানো হচ্ছে নানা কৌশল। অন্য ভোটের চেয়ে ব্যতিক্রম এই ভোটে প্রায় মাসখানেক ধরে কেরুজ আঙিনা সবসময় থাকে সরগরম। তবে ভোটের মাঠে প্রার্থীরা সরব হলেও ভোটাররা রয়েছেন নীরব।