দর্শনাকে উপজেলা করণের দাবীতে তিতুদহে মতবিনিময়সভায় বক্তারা অবহেলীত তিতুদহবাসির সুবিধার্থে দর্শনাকে উপজেলা করণ জরুরী

hh

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ, বেগমপুর, নবগঠিত নেহালপুর ও গড়াইটুপি ইউনিয়নবাসি বরাবরই অবহেলীত। এ ইউনিয়নের মানুষেরা জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে, উপজেলা নির্বাচনে ভোট দিতে হয় চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সদর উপজেলায়। যে কারণে এক রকমের পেটকাটা অবস্থায় পরে থাকতে হয় তাদেরকে। ইউনিয়ন এলাকার উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম সহ যে কোন প্রয়োজনীয় কাজের ক্ষেত্রে সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের আওতা ভিত্তিক জটিলতায় ভুগতে হয়। দর্শনাকে উপজেলা করণের দাবীতে আন্দোলনে অনেকটাই যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে অবহেলীত ইউনিয়নের মানুষগুলো। যে কারণে দলমত নির্বিশেষে দর্শনাকে উপজেলা আন্দোলনের কর্মসূচিতে ঝাপিয়ে পড়েছে তারা। দফায় দফায় আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহনই বুঝিয়ে দিচ্ছে দর্শনাকে উপজেলা করণের ক্ষেত্রে কারো আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। হিজলগাড়ি বাজারে মতবিনিময়, মিছিল, স্টিকার লাগানো কর্মসূচি শেষে এবার একই কর্মসূচি পালন করা হলো তিতুদহে। দর্শনা উপজেলা করণ আন্দোলনে যেন ঘরে বসে নেই কেউ। দলমত নির্বিশেষে আন্দোলনের মাঠ গরম রেখেছে সকলে। বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি রয়েছে অব্যাহত। সকল কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের মুখ থেকে একই বুলি বের হচ্ছে, চাই উপজেলা, দাও উপজেলা, হোক উপজেলা। সকল কর্মসূচিতে উপস্থিতিতেই যেন বলে দিচ্ছে দর্শনা উপজেলা ঘোষনা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের মাঠ ছাড়তে নারাজ এলাকাবাসি। এতেও সরকারের টনক না নড়লে বড় ধরণের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে পারে আন্দোলনকারিরা। “আসছে দুরন্ত সবুজের মিছিল, মিছিলের জমিনে ফুটবে টকবগে এক অর্জনের গোলাপ” চাই উপজেলা, দাও উপজেলা, হোক উপজেলা এ স্লোগানকে সামনে রেখে বেগমপুর, তিতুদহ, কুড়–লগাছি, পারকৃষ্ণপুর-মদনা, নবগঠিত নেহালপুর, গড়াইটুপি ও দর্শনা পৌরসভার সমন্বয়ে দর্শনা উপজেলা বাস্তবায়নে আন্দোলনের মাঠ চাঙ্গা করে রেখেছে আন্দোলনকারিরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়সভার সভাপতিত্ব করেন, হিজলগাড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ হাসান। আলোচনা করেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আ.লীগের যুগ্ন-সম্পাদক মিজানুর রহমান টিপু, তিতুদহ ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি খরিব উদ্দিন বিশ্বাস, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন খোকন, তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক আবুল হাসেম টোটন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক টুকু মাষ্টার, তিতুদহ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রোকন, জামাল মাষ্টার, আ.লীগ নেতা ঝন্টু মিয়া, মহিউদ্দিন মেম্বর, মাহবুবুর রহমান রিপন, তানভীর আহম্মেদ আলো, ডালিম হোসেন, হিজলগাড়ী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি এড. মনিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ অপূর্ব, যুগ্নসম্পাদক সেলিম রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আহমেদ, অর্থ সম্পাদক মাসুম জামিল, দপ্তর সম্পাদক ডাঃ শরিফুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সোনা মিয়া, রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক চঞ্চল মেহমুদ, সানরাইজের সহ-সভাপতি অন্তর মিত্র, সদস্য রিফাত রহমান, সবুজ মিয়া, ইব্রাহিম, রাসেল প্রমুখ। সাংবাদিক নজরুল ইসলামের উপস্থাপনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, কবি ও সাহিত্যিক আবু সুফিয়ান, সাবেক ছাত্রনেতা হারুন অর রশিদ, হাবিবুর রহমান বুলেট, সাজ্জাদ হোসেন, মিরাজ উদ্দিন, কামরুজ্জামান যুদ্ধ, সোহেল তরফদার, ছাত্রলীগ নেতা আলামিন প্রমুখ। আলোচনার চলাকালীন বিভিন্ন যান বাহনে স্টিকার লাগানো হয়েছে। আলোচনার আগে একটি মিছিল তিতুদহ বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে।