দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী রওশন আরা’র পাশে থাকবে তারাদেবী ফাউন্ডেশন
- আপলোড টাইম : ০৯:৩০:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অগাস্ট ২০১৮
- / ৫৩৩ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: আলমডাঙ্গা বন্ডবিলের কলেজ পড়–য়া গরীব মেধাবী শিক্ষার্থী রওশন আরা’র উচ্চ মাধ্যমিক লেখাপড়ার সমস্ত ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নিলো তারাদেবী ফাউন্ডেশন। তারাদেবী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার আগরওয়ালা গতকাল জানতে পারেন, জিপিএ-৫ পেয়ে লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম হয়েছে আলমডাঙ্গা বন্ডবিলের দিন মজুরের কন্যা রওশন আরা’র। এমন মানবেতর সংবাদ দেখার পর খোঁজখবর এবং তড়িৎভাবে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটকে নির্দেশ দেন। অত্র ইউনিটের সভাপতি অধ্যাপক শেখ সেলিম, নির্বাহী সদস্য মাফিজুর রহমান মাফি, নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবীর শিপলু, আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম রিফাত ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার শামীম বন্ডবিল গ্রামে পৌঁছিয়ে সার্বিক খোঁজখবর নিয়ে ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যানের পক্ষে রওশন আরা’র উচ্চ মাধ্যমিক লেখা পড়ার সমস্ত ব্যয়ভার বহনের ঘোষণা দেন। তারাদেবী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার আগরওয়ালার ঘোষণা চুয়াডাঙ্গা জেলার দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের কেউ যেন অর্থের অভাবে লেখাপড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়। এমন ঘোষণার বাস্তব রূপদানে রওশন আরা’র পাশে দাড়ালো তারাদেবী ফাউন্ডেশন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা পল্লীর বন্ডবিলের দিন মজুর বুলবুল-শাহনাজ দম্পতির তিন কন্যা। বড় মেয়ে রওনক আরা রেখা পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি এবং এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি তে গোল্ডেন এ প্লাস নিয়ে পাস করে রাজশাহীতে মেডিকেল কোচিং করেছিলো অনেক কষ্টে। মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারলেও রুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল। কিন্তু অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারেনি। শেষমেশ তার বিয়ে দেওয়া হয়। ২য় কন্যা রওশন আরাও বড় বোনের মতোই মেধাবী। তাদের পিতা বুলবুল দুবার স্ট্রোক করায় বছর চারেক বাড়িতে অসুস্থ্য অবস্থায় পড়ে ছিল। বর্তমানে অসুস্থ্য অবস্থায় গরুর হাটে দিনমজুরীর কাজ করে কোন রকমে দিনাতিপাত করছে। এই দম্পতির ছোট মেয়েও এবার পি.এস.সি পরীক্ষায় বৃত্তি প্রাপ্ত হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। তারাদেবী ফাউন্ডেশনের শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্তির ঘোষণা শোনার পর রওশন আরা জানান এমন সুযোগ অব্যাহত থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ ডিগ্রী নিয়ে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে তার প্রশাসনিক ক্যাডারে চাকুরী করার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। দিনমজুর বুলবুলের পরিবারের পক্ষ থেকে তারাদেবী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ও তার মায়ের প্রতি অশেষ দোয়া ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।