সমীকরণ প্রতিবেদন:
ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিপক্ষীয় মহাসড়কে যোগ দিতে চায় বাংলাদেশ। একই সাথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের সেক্টরাল পার্টনারশিপ ডায়ালগে অন্তর্ভুক্ত হতে আগ্রহী ঢাকা। থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রামুদউইনালের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন এই আগ্রহের কথা জানান। গত মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কায় বিমসটেক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের সাইডলাইনে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিমসটেকের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ায় থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান ড. মোমেন। আগামী ১ এপ্রিল থেকে পর্যটকদের জন্য থাইল্যান্ডে প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করে দেয়ার সিদ্ধান্তকে তিনি স্বাগত জানান। তারা বিমসটেক কাঠামোর আওতায় এক সাথে কাজ করতে সম্মত হন।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে যথাযথ কর্মসূচি হাতে নিতে দুই মন্ত্রী একমত হন। দ্বিপক্ষীয় সার্বিক ইস্যুতে আলোচনার জন্য ড. মোমেন যথাশিগগির সম্ভব বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড যৌথ কমিশন বৈঠক অনুষ্ঠানের ওপর গুরুত্ব দেন। কৃষি খাতে ক্রমবর্ধমান সক্ষমতাকে বিবেচনায় নিয়ে থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত সার থাকলে তা তার দেশে রফতানির অনুরোধ জানান। তিনি দুই দেশের মধ্যে মুুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সইয়ের ওপর জোর দেন। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় ফোরামে পরস্পরকে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। একই দিন ড. মোমেন শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জি এল পিরিস এবং নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. নারায়ন খাদেকের সাথে বৈঠক করেন। তিনি গতকাল শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজপক্ষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।