
ধর্ম ডেস্ক: হেদায়েত, রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের বাণী সংবলিত মহাগ্রন্থের নাম হলো আল কোরান। হজরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে হজরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত আল্লাহর সৃষ্টির সব রহস্য ও মানবজাতির ইতিহাস কোরানে কারিমে সুন্দরভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। কোরানে জ্ঞানীদের জন্য শেখার, বোঝার ও জানার অনেক কিছুই রয়েছে। এ কোরান শেখা, অন্যকে শেখানো ও তেলাওয়াত করার মধ্যে অনেক ফজিলত রয়েছে, যা দুই চার কথায় বোঝানো অসম্ভব। মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা কোরানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। হজরত উসমান (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ওই ব্যক্তি, যে কোরান শিক্ষা করে ও শিক্ষা দান করে -সহিহ বোখারি। পবিত্র কোরান জানা ও মানার মধ্যে একটি জাতির উন্নতি ও অবনতি নির্ভর করে। হজরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা এ কিতাব দ্বারা কোনো সম্প্রদায়কে উন্নতি দান করেন, আর কাউকে অবনতি দান করেন -সহিহ মুসলিম। কোরান তেলাওয়াতের সময় মিষ্টি সূরে পড়া উত্তম। হজরত বারা ইবনে আজেব (রা.) বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা তোমাদের সুমিষ্ট স্বর দ্বারা কোরান পড় -আহমদ, আবু দাউদ ও ইবনে মাজা। কোরান তেলাওয়াতকারী এবং মনোযোগ দিয়ে শ্রবণকারী উভয়ের প্রতি আল্লাহতায়ালার অনুগ্রহ বর্ষিত হয়। এ সম্পর্কে কোরানে ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন কোরান তেলাওয়াত করা হয়, তখন তোমরা মনোযোগ সহকারে তা শ্রবণ করবে এবং নীরব থাকবে। তাহলে আশা করা যায়, তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হবে’ -সূরা আরাফ: ২-৪। আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের জন্য তা কি যথেষ্ট হয়নি যে, আমি আপনার প্রতি এই কিতাব অবতীর্ণ করেছি, যা তাদেরকে তেলাওয়াত করে শোনানো হয়? নিঃসন্দেহে এতে ইমানদারদের জন্য রহমত ও উপদেশ রয়েছে’ -সূরা আনকাবুত: ৫১। তেলাওয়াতের ফজিলত সম্পর্কে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোরানের একটি অক্ষর পাঠ করবে, সে এর বদলে একটি নেকি লাভ করবে এবং প্রত্যেক নেকি দশটি নেকির সমান হবে -তিরমিজি। আল্লাহতায়ালা প্রত্যেককে কোরান শেখা ও যথাযথভাবে তেলাওয়াত করার তওফিক দান করুন। আমিন।