ইপেপার । আজ সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

তীব্র তাপদাহে ব্যস্ত শরবত বিক্রেতারা : ডাক্তারের নিষেধ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুলাই ২০১৮
  • / ৪৮১ বার পড়া হয়েছে

জাহিদ বাবু /মিঠুন মাহমুদ/এ আর ডাবলু: ভ্যাপসা গরমে ক্লান্ত শরীর, ঠিক তখনই এক গ্লাস লেবুর শরবত হলে প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। ঘর থেকে বের হলেই গরমে ঘেমে যেয়ে নাজেহাল। সাময়িক প্রশান্তি আর তৃষ্ণা মেটাতে তাই মানুষ ঝুঁকছে রাস্তার উপর বসা ভ্রাম্যমাণ শরবতের দোকানে। অস্বস্তিকর গরমে রাস্তার পাশের অস্থায়ী কিংবা ভ্রাম্যমাণ পানীয় ও কাটা ফলের দোকানগুলোতে ভিড় চোখে পড়ার মতো। তবে এসব খাবারে আস্থা নেই ডাক্তারের। বলছেন এড়িয়ে চলতে।
জীবননগর শহরে বের হলেই চোখে পড়বে ব্যস্ত সড়কের মোড়ে, মার্কেটের সামনে, রাস্তার পাশে সারি করে দাঁড়ানো লেবু পানি, আখের রস, বেলের শরবত, তরমুজ, শসা, ডাবসহ নানা প্রকারের লোভনীয় ফল-ফলাদি। গরম বেশি পড়লে বেড়ে যায় এসব খাবারের চাহিদা। অস্বাস্থ্যকর জেনেও পথের এসব খাবারে দৈনিক শত শত মানুষ তাদের তৃষ্ণা ও চাহিদা মেটাচ্ছে। মঈন, মারুফ, ইমন ও গিয়াসু জানান, অস্বাস্থ্যকর জেনেও গরম থেকে বাঁচতে তারা প্রায়ই রাস্তার পানীয় পান করেন। বরফের কুচি দেওয়া শরবত খেলে পুরো শরীর জুড়ে প্রশান্তি নামে। বরফ কুচি ও বিট লবণ মেশানো লেবুর শরবতের দোকানেও গরমে অস্থির অনেকেই স্বস্তি খুঁজতে ভীড় করেছেন। লেবুর শরবত বিক্রেতা শাহজালাল বলেন, এখন অনেক কাস্টমার। মাঝে মাঝে বেইচ্যা কুল পাওন যায় না। আমার লেবুর পানি একশ পার্সেন্ট ভালো। ভালো কারখানা থেকে বরফ আনা। কোনো ক্ষতি হইবো না।
বিভিন্ন সূত্রমতে, রাস্তার এসব পানীয়তে যে বরফ ব্যবহার করা হয় তা মাছের আড়ৎ, মর্গে ব্যবহার করা হয়। এ কারণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয় এ বরফ। এসব বরফে মেশানো থাকে কেমিক্যাল ও ইউরিয়া। ফলে ঠা-ার পরশ পেয়ে সাময়িক স্বস্তি মিললেও অজান্তেই শরীরে যাচ্ছে জন্ডিস, ডাইরিয়াসহ অন্য রোগের জীবাণু। যদিও বিক্রেতাদের দাবি খাওয়ার বরফ যেসব কারখানায় তৈরি হয় সেখান থেকে বরফ কেনেন তারা।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদ বিন হেদায়েত সেতু বলেন, পথঘাটে খাবার না খাওয়াই ভালো। রাস্তার পাশে এসব খাবার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রস্তুত হয়। এগুলো খেলে ডায়রিয়া, আমাশয় ও জন্ডিসের জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ খাবারগুলোতে বিশুদ্ধ পানিও ব্যবহার করা হয় না। আবার একই গ্লাস দিয়ে অনেকেই পান করেন। এতে পানকারীদের কেউ হেপাটাইটিস ‘এ’ ও ‘ই’ ভাইরাসে আক্রান্ত থাকলে গ্লাসের মাধ্যমে সুস্থ মানুষের শরীরেও যেতে পারে। সাময়িক তৃপ্তি দিলেও সচেতনতার সঙ্গে খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

তীব্র তাপদাহে ব্যস্ত শরবত বিক্রেতারা : ডাক্তারের নিষেধ

আপলোড টাইম : ১১:১৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুলাই ২০১৮

জাহিদ বাবু /মিঠুন মাহমুদ/এ আর ডাবলু: ভ্যাপসা গরমে ক্লান্ত শরীর, ঠিক তখনই এক গ্লাস লেবুর শরবত হলে প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। ঘর থেকে বের হলেই গরমে ঘেমে যেয়ে নাজেহাল। সাময়িক প্রশান্তি আর তৃষ্ণা মেটাতে তাই মানুষ ঝুঁকছে রাস্তার উপর বসা ভ্রাম্যমাণ শরবতের দোকানে। অস্বস্তিকর গরমে রাস্তার পাশের অস্থায়ী কিংবা ভ্রাম্যমাণ পানীয় ও কাটা ফলের দোকানগুলোতে ভিড় চোখে পড়ার মতো। তবে এসব খাবারে আস্থা নেই ডাক্তারের। বলছেন এড়িয়ে চলতে।
জীবননগর শহরে বের হলেই চোখে পড়বে ব্যস্ত সড়কের মোড়ে, মার্কেটের সামনে, রাস্তার পাশে সারি করে দাঁড়ানো লেবু পানি, আখের রস, বেলের শরবত, তরমুজ, শসা, ডাবসহ নানা প্রকারের লোভনীয় ফল-ফলাদি। গরম বেশি পড়লে বেড়ে যায় এসব খাবারের চাহিদা। অস্বাস্থ্যকর জেনেও পথের এসব খাবারে দৈনিক শত শত মানুষ তাদের তৃষ্ণা ও চাহিদা মেটাচ্ছে। মঈন, মারুফ, ইমন ও গিয়াসু জানান, অস্বাস্থ্যকর জেনেও গরম থেকে বাঁচতে তারা প্রায়ই রাস্তার পানীয় পান করেন। বরফের কুচি দেওয়া শরবত খেলে পুরো শরীর জুড়ে প্রশান্তি নামে। বরফ কুচি ও বিট লবণ মেশানো লেবুর শরবতের দোকানেও গরমে অস্থির অনেকেই স্বস্তি খুঁজতে ভীড় করেছেন। লেবুর শরবত বিক্রেতা শাহজালাল বলেন, এখন অনেক কাস্টমার। মাঝে মাঝে বেইচ্যা কুল পাওন যায় না। আমার লেবুর পানি একশ পার্সেন্ট ভালো। ভালো কারখানা থেকে বরফ আনা। কোনো ক্ষতি হইবো না।
বিভিন্ন সূত্রমতে, রাস্তার এসব পানীয়তে যে বরফ ব্যবহার করা হয় তা মাছের আড়ৎ, মর্গে ব্যবহার করা হয়। এ কারণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয় এ বরফ। এসব বরফে মেশানো থাকে কেমিক্যাল ও ইউরিয়া। ফলে ঠা-ার পরশ পেয়ে সাময়িক স্বস্তি মিললেও অজান্তেই শরীরে যাচ্ছে জন্ডিস, ডাইরিয়াসহ অন্য রোগের জীবাণু। যদিও বিক্রেতাদের দাবি খাওয়ার বরফ যেসব কারখানায় তৈরি হয় সেখান থেকে বরফ কেনেন তারা।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদ বিন হেদায়েত সেতু বলেন, পথঘাটে খাবার না খাওয়াই ভালো। রাস্তার পাশে এসব খাবার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রস্তুত হয়। এগুলো খেলে ডায়রিয়া, আমাশয় ও জন্ডিসের জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ খাবারগুলোতে বিশুদ্ধ পানিও ব্যবহার করা হয় না। আবার একই গ্লাস দিয়ে অনেকেই পান করেন। এতে পানকারীদের কেউ হেপাটাইটিস ‘এ’ ও ‘ই’ ভাইরাসে আক্রান্ত থাকলে গ্লাসের মাধ্যমে সুস্থ মানুষের শরীরেও যেতে পারে। সাময়িক তৃপ্তি দিলেও সচেতনতার সঙ্গে খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত বলে মনে করেন তিনি।