রুদ্র রাসেল:
চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় থেকে মৃদু তাপদাহ বয়ে যাচ্ছিল। এরপর মৃদু তাপদাহ রূপ নেয় মাঝারিতে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার মাঝারি তাপদাহ প্রায় ছুয়ে ফেলেছিল তীব্র তাপদাহকে। সেদিন চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রার পারদ ওঠে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এমন পরিস্থিতিতে বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছিল জেলাজুড়ে। অবশেষে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কাক্সিক্ষত বৃষ্টির দেখা মিলেছে। স্বস্তির বৃষ্টিতে টানা তাপদাহ থেকে যেন হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন চুয়াডাঙ্গার মানুষ।
সন্ধ্যায় শুরু হয় হালকা বাতাস। এরপর পড়তে থাকে দু-একটি বৃষ্টি ফোটা। কিছু সময় পরপর চুয়াডাঙ্গার রাস্তায় দেখা যায় বৃষ্টি ফোটার দাগ। রাত ৯টার পর থেকে থেমে আকাশে চমকাতে থাকে বিদ্যুৎ। সেই সঙ্গে মেঘের গর্জন জানাতে থাকে বৃষ্টির বার্তা। রাত সাড়ে ১০টা ৫ মিনিট থেকে চুয়াডাঙ্গার গাছের পাতায়-পাতায়, নরম ঘাষে, উত্তপ্ত রাস্তায় ঝরতে থাকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। রাতে বজ্রসহ বৃষ্টি মানুষের মনে প্রশান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়। তবে সূর্যদীপ্ত সকাল নিয়ে দিন শুরু করেছিল চুয়াডাঙ্গাবাসী। সূর্যের প্রখর তাপ চুয়াডাঙ্গাকে ছুঁয়ে যায় দুপুরেই। গতকাল বেলা তিনটায় এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার বলছে, এর পরপরই আকাশে মেঘ জমতে শুরু করে। বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর চুয়াডাঙ্গার আকাশে ছেয়ে আসে হালকা ধরণের মেঘে। এরপর সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে নামে সেই বহুল কাক্সিক্ষত বৃষ্টি।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, ‘বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে খুবই সামান্য বৃষ্টিপাত শুরু হয়। গতকাল চুয়াডাঙ্গায় ০ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গতকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ বৃহস্পতিবারও এ জেলায় রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা।’
