আলমডাঙ্গা হারদীর সবুর হত্যা মামলা, বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য
আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গার হারদীতে সবুর হত্যা মামলার অন্যতম আসামি জামালের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গ্রেপ্তার জামালকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত গতকাল রোববার এই আদেশ প্রদান করেন। এদিকে, জামাল গত শনিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় সবুর হত্যা মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা হারদী গ্রামে মৃত পলান মণ্ডলের ছেলে সবুর ২০১৯ সালের ২২ জুন নিজ শয়নকক্ষে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন। সবুরের স্ত্রী সালমা খাতুন পাশের ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর রুমে কেউ শিকল দিয়ে তাঁকে আটকে রাখে। পরে তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে শিকল খুলে দেয়। তিনি ঘরে গিয়ে সবুরের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্বামী হত্যার ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তিনি। এই মামলায় দীর্ঘ এক বছর ধরে তদন্ত করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময় পরিবর্তন করা হয় বিভিন্ন তদন্ত কর্মকর্তাদের। এরই একপর্যায়ে তদন্তের দায়িত্ব পান আলমডাঙ্গা থানার (ওসি, তদন্ত) মাসুদুর রহমান। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তে নেমে এই মামলার দুই আসামিকে গত ২৩ নভেম্বর রাতে গাংনী উপজেলার কুমারডাঙ্গা গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে শফিউদ্দিন ও হারদী গ্রামের রিপন শেখের ছেলে পাখিভ্যান চালক কিরন শেখকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারের পর তাঁরা পুলিশকে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান পুলিশের একটি টিম নিয়ে গত ২৭ নভেম্বর রাতে আলমডাঙ্গা গোবিন্দপুর গ্রাম থেকে হত্যা, বোমাবাজিসহ একাধিক মামলার আসামি জামালকে গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তার জামালকে আদালতে সোপর্দ করলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দিতে তিনি সবুর হত্যার ঘটনায় ভ্যানচালক কিরন শেখ ও গাংনী কুমারডাঙ্গা গ্রামের শফিউদ্দিনের স্ত্রী সালমা খাতুনের সঙ্গে বৈঠক করে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন বলে জানান। জামাল, কাবের আলী, কিরন ও শফিউদ্দিন স্ত্রীর সহায়তায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে তথ্য প্রদান করেছেন তিনি। গ্রেপ্তার জামালকে গতকাল রোববার বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান। আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
