তিতুদহের খাসপাড়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল দশা। বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হলেও বেতন পাচ্ছেনা শিক্ষক শিক্ষিকারা

IMG_20160919_232103 IMG_20160919_232035আকিমুল ইসলাম:  একটি শিশুর শিক্ষার প্রথম ধাপ শুরু হয় প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাত ধরেই। কিন্তু সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই যদি বেহালদশা হয় তাহলে সেখানে কি ভাবে দেওয়া হবে পর্যাপ্ত পরিমানে শিক্ষা। বলা হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের  খাসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির কথা। দুই গ্রামের এক মাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় এটা। বিদ্যালয়টিতে মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৮৬ জন। বিদ্যালয়টি প্রধান শিক্ষক  নজরুল ইসলাম এবং ৩জন মহিলা শিক্ষিকা দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে । ২০০৭ সালে মৃত হাজি মোঃ আওয়াল হোসেনের এর সভাপতিত্বে এই বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়। তার মৃত্যুর পর অত্র বিদ্যালয়ের হাল ধরে একই গ্রামের তিতুদহ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক গিয়াস উদ্দীন। এরপরে ২০১৩ সালের জুলাই মাসে থেকে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হলেও জাতীয়করণের তালিকায় নাম যায়নি শিক্ষকমন্ডলীদের। বলতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্য শিক্ষকমন্ডলীরা পায় না মাসিক বেতন কিংবা কোনো কার্যদিবসের বোনাস। নিজেদের প্রচেষ্টায় আজও চালিয়ে যাচ্ছেন বিদ্যালয়টি। শিক্ষক হয়ে অন্য কোনো কাজও করতে পারেন না তারা। বিদ্যালয়টিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টিনের দোচালা আঁধাভাঙা একটা রুমই তাদের অফিস। বাঁশ আর টিনের দোচালা তিনটা রুম এই বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ। নাই কোনো বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সামান্য গরমেই অতিষ্ঠ হয়ে যায় শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীরা ফলে পড়া শোনায় মনোযোগী হতে পারে না ছাত্র-ছাত্রীর। এক রুমে থেকে অন্য রুমের মাঝে বাঁশের দেওয়াল দেওয়া যার ফলে এক রুমে ক্লাস নেওয়া হলে এর শব্দে অন্য রুমে ক্লাস নিতে হয় সমস্যা। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি মাত্র বাথরুম থাকলেও সেটা ব্যবহারের অনুপযোগী। সামান্য বৃষ্টি হলেই বাথরুমটি তলিয়ে যায় পানির নিচে। নাই খেলার জন্য উন্মুক্ত কোনো মাঠ। এভাবেই দিনের পর দিন নিজেদের কষ্টকে প্রশ্রয় না দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে বিদ্যালয়টি। যদি উর্ধতন কর্মকর্তা এদিকে একটু সুনজর দিতো তাহলে এ বিদ্যালয়টি  ঘুরে দাঁড়াতে পারতো অন্য সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মত।