আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালার ঠিকাদার কামাল হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্বাধীনসহ চারজন এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এজাহারনামীয় ১১ জনের মধ্যে পুলিশ সবমিলিয়ে ৮ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করল। এদিকে, হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্বাধীন হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।
জানা যায়, আলমডাঙ্গার জেহালার কামাল হোসেন হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের ধরতে পুলিশ তৎপরতা চালাতে থাকে। বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে হত্যামামলার প্রধান আসামিসহ বেশ কিছু আসামি নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় প্রধান আসামি স্বাধীনের আত্মীয় বাড়িতে অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের সত্যতা যাচাই করে গত বৃহস্পতিবার আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ সিদ্ধিরগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করে। সে সময় মামলার প্রধান আসামি আলমডাঙ্গার বামানগর গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে ও জেহালার মৃত মোতাহার হোসেনের ঘরজামাই স্বাধীন আলী, ৭ নম্বর আসামি মৃত মোতাহার আলীর স্ত্রী ইসমত আরা বিউটি, প্রধান আসামি স্বাধীনের স্ত্রী সাইমা নিগার ও ৯ নম্বর আসামি মৃত মোতাহার হোসেনের মেয়ে নাইমা নিগারকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে প্রধান আসামি স্বাধীন আলীকে গতকাল চুয়াডাঙ্গায় সংশ্লিষ্ট আদালতে উপস্থিত করা হলে তিনি কামাল হত্যাকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই একরামুল জানান, গ্রেপ্তারের পর স্বাধীনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। সে সময় তিনি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট নিজেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। ইতঃপূর্বে গত ১০ মে কামাল হত্যা মামলার আরও ৪ এজাহারনামীয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পূর্বে গ্রেপ্তার করা হয়েছে- হারদী গ্রামের ওবাইদুল ইসলাম খানের ছেলে সাজ্জাদুল ইসলাম স্বপন (৪৭), মুন্সিগঞ্জের মৃত আলাউদ্দীনের ছেলে ও প্রধান আসামি স্বাধীনের ম্যানেজার রফিক, মৃত আলফাজের ছেলে বিমান ও তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে তরিকুল ইসলাম। একই দিন নিহত কামাল হোসেনের স্ত্রী সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় ১১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রসঙ্গত, গত ৯ মে আলমডাঙ্গার জেহালার বিশিষ্ট ঠিকাদার কামাল হোসেনকে (৬৪) পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।