
ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহ পৌরসভার নামে পরিবহন থেকে চাঁদাবাজী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার রাতে ঝিনাইদহ পৌরসভার কনফারেন্স রুমে জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন পৌরসভার মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল। এসময় ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ, নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল উদ্দীন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান চান উপস্থিত ছিলেন।
পৌরসভার মেয়র দাবি করেন, ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন রুটে পৌরসভার নামে যানবাহন থেকে চাঁদা তোলা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে পৌরসভা সম্পৃক্ত নয়। তিনি অভিযোগ করেন, বিষয়টি নিয়ে শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দকে তার দপ্তরে চা পানের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, কিন্তু তারা সাড়া দেননি। তবে তারা জানিয়েেেছন চাঁদা তোলার সঙ্গে শ্রমিক সংগঠনের কেউ জড়িত নয়। পৌরসভার মেয়র মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন, ‘আমি পৌরবাসীর খেদমত করার জন্য চেয়ারে বসেছি। চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসীকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।’ চাঁদাবাজীর বিষয়টি তিনি পুলিশ ও র্যাবকে জানানো ও এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিবেন বলেও জানান। পৌর মেয়র জনবান্ধব পৌর প্রশাসন গড়ে তুলতে সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, মাস্টার রোলে চাকরি দেবার কারণে সাবেক একজন চেয়ারম্যান দুর্নীতি মামলায় জেলে গেছেন। এ জন্য মনে করছি মেয়রের চেয়ারটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি বলেন, ঝিনাইদহ পৌরসভায় ৫১ জন মাস্টার রোলে চাকরি করছেন বলে জানতে পেরেছি। তারা কীভাবে চাকরি করেন, তা দেখার জন্য আমি নির্দেশ দিয়েছি। সাংবাদিকরা পৌর এলাকার সড়কের পাশে যত্রতত্র দোকান, ইজিবাইকের আধিক্য, যানজট, রাস্তার ওপর ইট-বালি ফেলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি ও ফুটপাতে দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজীর অভিযোগ করেন। এসব বিষয়গুলো তিনি সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বলেন, আমার নির্র্বাচনী ইশতেহারে ছিল চাঁদাবাজী ও দুর্নীতিমুক্ত পৌরসভা গড়ে তোলা। ইশতেহার বাস্তবায়নে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’