
ঝিনাইদহ অফিস:
দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত ঝিনাইদহ জেলা কার্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল ঝিনাইদহ পৌরসভায় অভিযান চালিয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক বজলুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনধি দল গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় পৌরসভায় অভিযান চালায়। তারা অ্যাকাউন্টস সেকশন থেকে ক্যাশ বই, চেক বই, নোট শিটের ফাইল সিজার লিস্ট করে নিয়ে যায়। দুদুকের প্রতিনিধি দল পৌরসভায় আসার খবরে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বিশেষ করে যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তারা নিজ চেয়ার ছেড়ে আড়ালে আবডালে অবস্থান গ্রহণ করেন। সাবেক মেয়র ও সচিবসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় অধিকতর তদন্তের স্বার্থে দুদক প্রতিনিধি দল এসব ফাইল তলব করেন।
খবরটি নিশ্চত করে ঝিনাইদহ পৌরসভার অ্যাকাউন্টস অফিসার আব্দুল মজিদ জানান, দুদক প্রতিনিধি দল ক্যাশ বই, চেক বই, নোট শিটের ফাইল সিজার লিস্ট করে নিয়ে গেছেন। তারা পৌরসভায় ৩ ঘণ্টা ছিলেন। যাওয়ার সময় আমাদের একটি সিজার লিস্টের কপি দিয়ে গেছেন। বিষয়টি নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল উদ্দীন জানান, তদন্তের স্বার্থে তারা কিছু চেক বই নিয়ে গেছেন। আমার নামেও একটি চেক ছিল। কিন্তু তাতে আমার কোনো স্বাক্ষর নেই।
এদিকে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ঝিনাইদহ পৌরসভায় কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। হাট-ইজারা ও ঠিকাদারী কাজের ভ্যাট ট্যাক্সের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়নি। ঝিনাইদহ আয়কর অফিস থেকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলেও সাড়া দেয়নি পৌরসভা। টিআর কাবিখার টাকা নয়-ছয় করা হয়েছে। মাত্র ৩টি লাইন্সেসের বিপরীতে কোটি কোটি টাকার কাজ করা হয়েছে। এতে অংশগ্রহণ বা প্রতিযোগিতামূলক টেন্ডার হয়নি। ফলে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এসব বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হবে বলেও সূত্র আভাস দিয়েছে।