চুয়াডাঙ্গা সোমবার , ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের নির্বাচনে জমে উঠেছে লড়াই

নিউজ রুমঃ
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২ ৮:৪৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই আওয়ামী লীগ নেতা মনোনায়পত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কনক কান্তি দাসের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের নেতা এম হারুন অর রশিদের ফের ভোটযুদ্ধ হতে যাচ্ছে।

এর আগে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবং শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সাকে পৌর চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান খোকা ও সৃজনী বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এম হারুন অর রশিদসহ চারজন মনোনায়নপত্র দাখিল করেন। দলীয় সমাঝোতায় গত ২২ সেপ্টেম্বর আনিছুর রহমান খোকা এবং গতকাল রোববার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মকবুল হোসেন মনোনায়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। যে কারণে গত ৫ বছর আগে অনুষ্ঠিত সেই পুরানো দুই প্রার্থী এবারো জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হয়েছেন।

নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস বলেন, তিনি আশা করেন এবারের নির্বাচনে তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়ায় জয়লাভ করবেন। তিনি জানান, দলের যে দু’জন প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মনোনায়ন দাখিল করেছিলেন, তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একই সাথে ওই দুইজন নেতাসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ তাঁর পক্ষে কাজ করছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী সৃজনী বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এম হারুন অর রশিদ বলেন, গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি সামান্য ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। এবারো তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন। তিনি আরও বলেন, গত ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। জেলা পরিষদ নির্বাচন যদি সেইভাবে সম্পন্ন হয়, তাহলে তিনি অবশ্যই বিজয়ী হবেন বলে জোর দাবি রাখেন।

উল্লেখ্য, হারুন অর রশিদ এর আগে একাধিকবার পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দাঁড়িয়ে পরাজিত হন। ঝিনাাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম আব্দুল হাকিম আহম্মেদ বলেন, দলীয় নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন এবং দুইজন সিনিয়র নেতা তাদের মনোনায়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। যে কারণে তাদের দলীয় প্রার্থীর জয়লাভের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদি। এদিকে জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলা পরিষদের সাধারণ সদস্য পদে ৩ জন মনোনায়নপত্র প্রত্যাহার করেছে। ফলে এখন সাধারণ সদস্য পদে ২২ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।