ইপেপার । আজ রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

ঝিনাইদহে ৭শ টাকা চুরির অপবাদে শিশু নির্যাতনে গ্রেফতার ১

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৫৭:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৬
  • / ৪০৭ বার পড়া হয়েছে

Jhenidah chield torture photo 21-08-16ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহে মাত্র ৭’শ টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে পিয়াস নামে এক শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন দোকান মালিক তিজারত হোসেন। পিয়াস কালীগঞ্জ উপজেলার চাপাতলা গ্রামের দিনমজুর জহির উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে সে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ধানহাড়িয়া গ্রামের খালা বাড়ীতে থাকতো। নির্যাতিত শিশুর খালু রুস্তম আলী এ ঘটনায় তিনজনকে আসামী করে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। পিয়াসের বাবা জহির উদ্দীন জানান, ছয় মাস আগে সপ্তাহে ১’শ টাকা মজুরির বিনিময়ে ঝিনাইদহ শহরের কবি সুকান্ত সড়কে সুলতান মার্কেটের তিজারত ইলেকট্রনিক্সে কর্মচারীর হিসেবে কাজ নেয় পিয়াস। শনিবার সকালে তিজারত ইলেকট্রনিক্সে কাজ করতে যায় পিয়াস। সন্ধ্যার দিকে মালিক তিজারত হোসেন অন্য কাজে বাইরে যান। ফিরে এসে ক্যাশ বাক্সে থাকা ৭’শ টাকা না পেয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে পিয়াসকে মারধর শুরু করেন। তিজারত হাতুড়ি, কাঠের বাটাম ও রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে।
এ সময় অন্যানো দোকানিরা এসে পিয়াসকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে পিয়াসের খালু রুস্তম আলী তাকে উদ্ধার করে রাত ১২ টার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে কনসালটেন্ট (সার্জারী) ডা: জাহিদুর রহমান জানান, কিশোর পিয়াসের শারিরীক অবস্থা এখন ভালো আছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুরোপুরি সুস্থ হতে কয়েকদিন সময় লাগবে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার (পিপিএম) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, শিশু পিয়াস নির্যাতনের ঘটনায় তার খালু রুস্তম আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং-২৯। এদিকে পিয়াসকে নির্যাতনের ঘটনায় আকরাম হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোররাতে ঝিনাইদহ শহরের শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আকরাম হোসেন সদর উপজেলার বারইখালী গ্রামে আজাহার মন্ডলের ছেলে। ঝিনাইদহ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) কবির হোসেন জানান, কিশোর পিয়াসকে নির্যাতনের ঘটনায় রোববার বিকেলে পিয়াসের খালু বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার পর থেকে আসামীদের ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। সোমবার ভোররাতে পুরাতন ডিসি কোর্ট এলাকা থেকে মামলার ৩ নম্বর আসামী আকরাম হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে ৭শ টাকা চুরির অপবাদে শিশু নির্যাতনে গ্রেফতার ১

আপলোড টাইম : ০১:৫৭:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৬

Jhenidah chield torture photo 21-08-16ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহে মাত্র ৭’শ টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে পিয়াস নামে এক শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন দোকান মালিক তিজারত হোসেন। পিয়াস কালীগঞ্জ উপজেলার চাপাতলা গ্রামের দিনমজুর জহির উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে সে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ধানহাড়িয়া গ্রামের খালা বাড়ীতে থাকতো। নির্যাতিত শিশুর খালু রুস্তম আলী এ ঘটনায় তিনজনকে আসামী করে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। পিয়াসের বাবা জহির উদ্দীন জানান, ছয় মাস আগে সপ্তাহে ১’শ টাকা মজুরির বিনিময়ে ঝিনাইদহ শহরের কবি সুকান্ত সড়কে সুলতান মার্কেটের তিজারত ইলেকট্রনিক্সে কর্মচারীর হিসেবে কাজ নেয় পিয়াস। শনিবার সকালে তিজারত ইলেকট্রনিক্সে কাজ করতে যায় পিয়াস। সন্ধ্যার দিকে মালিক তিজারত হোসেন অন্য কাজে বাইরে যান। ফিরে এসে ক্যাশ বাক্সে থাকা ৭’শ টাকা না পেয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে পিয়াসকে মারধর শুরু করেন। তিজারত হাতুড়ি, কাঠের বাটাম ও রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে।
এ সময় অন্যানো দোকানিরা এসে পিয়াসকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে পিয়াসের খালু রুস্তম আলী তাকে উদ্ধার করে রাত ১২ টার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে কনসালটেন্ট (সার্জারী) ডা: জাহিদুর রহমান জানান, কিশোর পিয়াসের শারিরীক অবস্থা এখন ভালো আছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুরোপুরি সুস্থ হতে কয়েকদিন সময় লাগবে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার (পিপিএম) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, শিশু পিয়াস নির্যাতনের ঘটনায় তার খালু রুস্তম আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং-২৯। এদিকে পিয়াসকে নির্যাতনের ঘটনায় আকরাম হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোররাতে ঝিনাইদহ শহরের শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আকরাম হোসেন সদর উপজেলার বারইখালী গ্রামে আজাহার মন্ডলের ছেলে। ঝিনাইদহ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) কবির হোসেন জানান, কিশোর পিয়াসকে নির্যাতনের ঘটনায় রোববার বিকেলে পিয়াসের খালু বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার পর থেকে আসামীদের ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। সোমবার ভোররাতে পুরাতন ডিসি কোর্ট এলাকা থেকে মামলার ৩ নম্বর আসামী আকরাম হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।