ঝিনাইদহে রাবির সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী লিপু হত্যা মায়ের অভিযোগ রুমমেটরাই হত্যা করেছে লিপুকে

Dead-Lipu-Pic-jhenaidah

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপুকে তার রুমমেটরা হত্যা করেছে এমন আশংকা করেছেন লিপুর মা হোসনে আরা বেগম। তিনি অভিযোগ করেন লিপু গত পুঁজোর ছুটিতে বাড়ি আসলে এক রুমমেট তাকে ফোনে হত্যার হুমকী দেয়। তাদের মধ্যে উত্তেজনা ও কথাকাটাকাটিও হয়। আমি এ সময় লিপুকে বলেছিলাম কে হুমকী দিচ্ছে বাবা। তুমি তার মোবাইল নাম্বারটা দাও। লিপু এ সময় বলেছিলো আমার এক রুমমেট। এবার ফিরে এসো তার নাম্বার দেব। লিপু ফিরলো ঠিকই, তবে লাশ হয়েছে। এ কথা বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন লিপুর মমতাময়ী মা। লিপু হত্যা রহস্য ফাঁস না হলেও ক্যাম্পাসে ফেরার আগের দিন লিপুর যে বন্ধুর সাথে কথাকাটাকাটি হয়েছিলো, সে সম্পর্কে গোয়েন্দারা খোঁজ নিলেই লিপু হত্যার রহস্য উদঘাটন হতে পারে। এদিকে বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে মোতালেব হোসেন লিপুকে দাফন করা হয় তাদের পারিবারিক গোরস্থানে। দাফনের পর থেকেই এলাকা ও লিপুর পরিবারে চলছে শোকের মাতম। বুক ফাটানো কান্নায় ভারি হয়ে উঠছে গোটা গ্রামটি। কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছেনা লিপুর হতভাগী মা হোসনেয়ারা বেগমকে। মায়ের মুখে একই কথা ঘাতকরা আমার ছেলেকে সংবাদিক হতে দিল না। ওরা তাকে বাঁচতে দিল না। প্রতিবেশিরা জানান, একেবারেই নরম ও ভদ্র স্বভাবের ছিলেন মোতালেব হোসেন লিপু। বাড়িতে কম কথা বলতেন, ছিলেন অনেকটা চাপা স্বভাবের। সে কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সাছে জড়িত ছিল না, পড়া-লেখাই ছিল তার ধ্যান জ্ঞান। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুরক্ষিত স্থানে থেকে তাকে লাশ হয়ে ফিরতে হবে এমনটি মেনে নিতে পারছে না গ্রামবাসী। চাচাত ভাই শাসুম মোল্লা জানান, মোতালেব হোসেন লিপু গত পুঁজোর ছুটিতে বাড়ি আসে। গত মঙ্গলবারে সে ক্যাম্পাসে ফিরে যায়। কেন সে লাশ হলো, কেন তাকে বাঁচতে দেয়া হলো না, কারা ছিল তার ঘাতক তা সরকারকে বের করতে হবে।  লিপুর মা হোসনে আরা অভিযোগ করেন ক্যাম্পাসে ফেরার আগের দিন মোবাইলে যার সাথে কাথাকাটাকাটি ও হুমকি দেওয়া হয়েছিল সেই আমার সন্তানকে হত্যা করতে পারে। আমি তদন্ত করে প্রকৃত ঘাতকদের খুজে বের করার দাবী জানাচ্ছি।