ঝিনাইদহে ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্য্যরে মধ্যদিয়ে পবিত্র শবে মেরাজ পালন

logo

ঝিনাইদহ অফিস:
যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্য্যরে মধ্যদিয়ে গতকাল শনিবার রাতে ঝিনাইদহে পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ ও দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মহান রাব্বুল আল আমিনের রহমত কামনায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদে মসজিদে, নিজ গৃহে কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোরআনখানি, জিকির-আজগার এবং ইবাদত-বন্দেগির মধ্যদিয়ে পবিত্র শবে মেরাজ পালন করে।

দিবসটি পালনে জমিয়তে জাকেরীণের উদ্যোগে শহরের ব্যাপারীপাড়া সায়াদাতিয়া খানকাহ শরীফে জিকির মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জিকির মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা হাসান মাহমুদ ও হাফেজ মাওলানা আল মাহদী লিপিয়ার। জিকির শেষে এক মিলাদ মাহফিলে উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য দোয়া করা হয়। ইসলাম ধর্মে শবে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ, এই মেরাজের মধ্যদিয়েই সালাত বা নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ করা হয় এবং এই রাতেই প্রতিদিন ৫ বার নামাজ আদায় করার বিধান নিয়ে আসেন আল্লাহ পাকের প্রিয় হাবিব রাসুলে পাক (সা.)। হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওত লাভের একাদশ বছরের ২৬ রজব (৬২০ খ্রিস্টাব্দে) রাতে হজরত জিবরাইল (আ.)-এর সঙ্গে বোরাক নামক বাহনে চড়ে প্রথমে পবিত্র কাবা থেকে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত সফর করেন। সেখানে অন্যান্য নবী-রসুলের সঙ্গে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন। তারপর সেখান থেকে সপ্তম আসমান পেরিয়ে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত সফরে হজরত জিবরাইল (আ.)-এর নবীজির (সা.) সঙ্গে পরিভ্রণ করেন। এ সময় রাসুল পাক (সা.) নভোমন্ডল, বেহেশত-দোজখ ও সৃষ্টির বিভিন্ন রহস্য প্রত্যক্ষ করেন এবং পূর্ববর্তী নবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ করেন। পরে রফরফ নামক বাহনে চড়ে রাসুল পাক (সা.) আল্লাহ পাকের আরশে আজিমে পৌঁছান।