ঝিনাইদহে আ.লীগের সভাপতির ওপর হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত এলাকা

logo

ঝিনাইদহ অফিস:
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির ওপর হামলা চালিয়ে মারপিট করায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বিশ^াসসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে আহত আওয়ামী লীগ নেতার ভাই সাবেক ইউপি মেম্বার আসাদুজ্জামান সুজন বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলাটি করেন। চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খাজুরা গ্রামের মহিউদ্দীন বিশ^াসের ছেলে। মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ ছাড়াও ফকিরাবাদ গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে রাজন ওরফে কসাই রাজন, গয়াসপুর গ্রামের আব্দুর রফের ছেলে রাসেল, আব্দুস সাত্তারের ছেলে আনিছ ও বাড়িবাথান গ্রামের শাহজাহানের ছেলে শহীদকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত ইউপি নির্বাচনে বাদীসহ আহতরা নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট করার কারণে বিবাদী আবু সাঈদ বিভিন্ন সময় খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছিল। গতকাল দুপুরে বানিয়াকান্দর গ্রামের সিদ্দিকের মোড় নামক স্থানে জনৈক আনোয়ারের চায়ের দোকানে বসে গল্প করার সময় প্রধান আসামি আবু সাঈদসহ তার দলবল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে বাদীর বড় ভাই রফিকুল ইসলাম উজ্জল, সাবেক মেম্বার নাছির উদ্দীন, আতিয়ার রহমান ও জিনারুল ইসলামকে মারধর করে।
এদিকে চেয়ারম্যান সমর্থিত লোকজনের ওপর হামলার ঘটনায়ও পাল্টা আরও কয়েকটি মামলা হয়েছে। একই দিনে হাসেম আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে নাছির উদ্দীন মেম্বার, জিনারুল ইসরাশ, লিটন ও আসাদুজ্জামান সুজন মেম্বার। পাগলাকানাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বিশ^াস অভিযোগ করেন, তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই প্রতিপক্ষরা তার কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। ইউনিয়নের উন্নয়ন তারা সহ্য করতে পারছে না।
পাল্টাপাল্টি মামলার বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ডিউটি অফিসার এসআই সাইদুজ্জামান বলেন, শনিবার রাতে আবু সাঈদকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে, যার নম্বর ০৫। অন্যদিকে ৫ নম্বর মামলার বাদী সুজন মেম্বরসহ ৬ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেছেন হাসেম আলী। মামলা দুটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।