ঝিনাইদহের সাবেক এমপি মসিউরের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ
দলীয়ভাবে পালিত হবে নানা কর্মসূচি
- আপলোড টাইম : ০৯:১৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
- / ১৮ বার পড়া হয়েছে
আধুনিক ঝিনাইদহ গড়ার কারিগর সাবেক হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মসিউর রহমানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২২ সালের এই দিনে তিনি ঝিনাইদহ শহরের নিজ বাসায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন। তিনি ঝিনাইদহ-২ (সদর-হরিণাকুণ্ডু) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে জেলায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেন। কীর্তিমান রাজনীতিক মসিউর রহমানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে পারিবারিক ও দলীয়ভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
পারিবারিকভাবে হরিণাকুণ্ডুুর কন্যাদহ গ্রামের মরহুমের মাজার জিয়ারত, কোরআন খতম, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে। এদিকে, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি মসিউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ উপলক্ষে আজ শুক্রবার মসিউর রহমানের মাজার জিয়ারত, জেলার সকল উপজেলার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের মসজিদে মসজিদে বাদ জুম্মা দোয়া মাহফিল ও আগামীকাল শনিবার ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব চত্বরে স্মরণসভার আয়োজন করা হবে।
ঝিনাইদহের উন্নয়নের রূপকার খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা মসিউর রহমান সংসদ সদস্য হয়েই হরিণাকুণ্ডুু উপজেলায় বিএসসি নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের একমাত্র সরকারি শিশু হাসপাতাল ঝিনাইদহ স্থাপনের প্রধানতম কারিগরও তিনি। পিছিয়ে পড়া ঝিনাইদহের জনগণের স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নে রণাঙ্গনের মসিউর রহমান ঝিনাইদহে বাংলাদেশ টেলিভিশনের আঞ্চলিক সম্প্রচার কেন্দ্র স্থাপন, ঝিনাইদহে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি, মুক ও বধির স্কুল, মৃত্তিকা গবেষণা কেন্দ্র, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ডায়াবেটিস হাসপাতাল, চক্ষু হাসপাতাল, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নির্মাণ ও বাইপাস সড়ক নির্মাণ, সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, তুলা বীজ ও রেশম বোর্ড স্থাপনসহ অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ করে স্মরণীয় হয়ে আছেন।
এদিকে, গত ১৬ বছরের আওয়ামী দুঃশাসনামলে ঝিনাইদহে কার্যত কোনো উন্নয়ন হয়নি। এমনকি মসিউর রহমানের আমলে তৈরি সড়ক, ব্রিজ, কালভার্ট সংস্কারের কাজও করেনি আওয়ামী সরকার। ভোট চুরি ও শেখ হাসিনার মনোনীত এমপিরা কেবল লুটপাট, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। আর এসব কারণে এখনো ঝিনাইদহ জনপদের মানুষ আধুনিক ঝিনাইদহের রূপকার মনে করেন মসিউর রহমানকে।