জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা আজ শুরু

image_1708_262343

সমীকরণ ডেস্ক: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা আজ শুরু হচ্ছে। এতে ২৪ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেবে। সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নকলমুক্ত পরীক্ষা গ্রহণ এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশের ২৮ হাজার ৭৬১টি প্রতিষ্ঠানের ২৪ লাখ ১২ হাজার ৭৭৫ জন শিক্ষার্থী আগামী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর মধ্যে জেএসসিতে ৮ বোর্ডের অধীনে এবার ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৩০৩ জন এবং জেডিসিতে মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৭২ জন পরীক্ষায় অংশ নেবে। পরীক্ষার সময়সূচি ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি জানান, এবার ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রী বেশি ১ লাখ ৬৪ হাজার ২৯ জন। ২৪ লাখ ১২ হাজার ৭৭৫ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৪০২ জন ছাত্রী। আর ছাত্র ১১ লাখ ২৪ হাজার ৩৭৩। গত বছর এই পরীক্ষায় ২৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৩৩ জন অংশ নিয়েছিল জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার ৮৬ হাজার ৮৪২ জন পরীক্ষার্থী বেড়েছে। এবার জেএসসিতে ১ লাখ ৩ হাজার ৬৫৩ এবং জেডিসিতে ১৮ হাজার ২১ জন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এক থেকে তিন বিষয়ে যারা অকৃতকার্য হয়েছিল, তারাও এবার ওইসব বিষয়ে পরীক্ষা দেবে। এই সংখ্যা জেএসসিতে ৯১ হাজার ৮৬১ এবং জেডিসিতে ১৪ হাজার ৬৯৮। এছাড়া দেশের বাইরের ৮টি কেন্দ্রে এবার ৬৮১ জন জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। আর এবারো বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে নেয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা এবারো অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে। এছাড়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই, তারা শ্রুতিলেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে। প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রালপলসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে। মন্ত্রী আরো জানান, বহু নির্বাচনী ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে দুটি বিভাগ থাকলেও দুটি অংশ মিলে ৩৩ পেলেই পাস বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ, এসএসসির মতো দুটি অংশে আলাদা পাসের প্রয়োজন নেই। উল্লেখ্য, সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার দায়িত্ব না নেয়ায় এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই পরীক্ষা হবে।