চুয়াডাঙ্গা রবিবার , ৮ জানুয়ারি ২০২৩

জীবননগর বাঁকায় প্রথমবারের মতো চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুল

নিউজ রুমঃ
জানুয়ারি ৮, ২০২৩ ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

জীবননগর অফিস:
জীবননগর উপজেলায় প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী ফুলের চাষ করছেন ফাতেমা জোহরা নামের একজন নারী কৃষি উদ্যোক্তা। জীবননগর উপজেলার বাঁকা গ্রামে তিন বিঘা জমিতে বারি-৩ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন তিনি। হলুদ রঙের ফুলের মন মাতানো ঘ্রাণ আর মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে তার সুর্যমুখী বাগান। তবে সূর্যমুখী ফুল চাষের লক্ষ্য নিছক বিনোদন নয়। মূলত ভোজ্য তৈল উৎপাদনের মাধ্যমে খাদ্য চাহিদা মেটাতে এ চাষ করা হচ্ছে বলে জানান এই নারী উদ্যোক্তা।

সূর্যমুখী চাষের ৯০ থেকে ১০৫ দিনের মধ্যেই কৃষক বীজ ঘরে তুলতে পারে। একটি পরিণত সূর্যমুখী ফুলের গাছ ৯০ থেকে ১১০ সেন্টিমিটার লম্বা হয়ে থাকে। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোনো প্রকার ক্ষতি না হয়, তাহলে প্রতি বিঘা জমিতে ৬ থেকে সাড়ে ৬ মণ সূর্যমুখী ফুলের বীজ পাওয়া যায়। এক মণ বীজ থেকে ১৮ কেজি সূর্যমুখী তেল উৎপাদন করা যায়। প্রতি কেজি তেল বাজারে ২২০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। সূর্যমুখীর তেল ছাড়াও খৈল দিয়ে মাছের খাবার এবং গাছগুলো জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

স্থানীয় একজন কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, গ্রামের মাঠে এই প্রথম সূর্যমুখী ফুলের চাষ হচ্ছে, এটা দেখতে অনেক সুন্দর। এর বীজ থেকে তেল তৈরি হয়। তবে এর তেল ভাঙানো এবং বাজারজাতকরণের জন্য যদি কৃষি অফিস থেকে সহযোগিতা করে, তাহলে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে সফলতা পাওয়া যাবে।
নারী কৃষি উদ্যোক্তা ফাতেমা জোহরা বলেন, সূর্যমুখী ফুল দেখতে অনেক সুন্দর। প্রতিনিয়িত বিভিন্ন এলাকা থেকে সূর্যমুখী ফুলের জমিতে ছবি তুলতে ভিড় করেন দর্শানার্থীরা। এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য অবলোকনে শুধু প্রকৃতি প্রেমীই নয়, বরং যে কারো হৃদয় কাড়বে। তবে সূর্যমুখী ফুল চাষে দেশের ভোজ তেলের ঘাটতি পূরণের লক্ষে অনেকটা সহায়ক হয়। আমি এই প্রথম তিন বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে এই চাষটি করেছি। দাম ভালো পেলে ও ঠিকমতো বাজারজাত করতে পারলে পরবর্তীতে আরও বেশি জমিতে সূর্যমুখী চাষ করার ইচ্ছাও রয়েছে আমার।’

জীবননগর উপজেলার সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন বলেন, নারী কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে ফাতেমা জোহরা বেশ পরিচিত। তিনি সবসময় নতুন নতুন ফসল চাষ করেন। এবারও তিনি এলাকাতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। তার জমিটা আমি পরিদর্শন করেছি অনেক সুন্দর ফুল ও ফল ধরেছে। আশা করি তিনি এই চাষে সফলতা পাবেন। আমাদের কৃষি বিভাগ থেকে উপজেলার সকল কৃষকদের সবসময় নতুন নতুন চাষের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কৃষকরা যাতে চাষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য কৃষকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হয়।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।