জীবননগর অফিস: জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামে অসহায় দরিদ্র কৃষকের শেষ সম্বল ১বিঘা আম বাগান কেটে সয়লাব অভিযোগ উঠেছে তালাক দেওয়া দ্বিতীয় স্ত্রী বিরুদ্ধে। জানা গেছে জীবননগর উপজেলা সীমান্ত ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড গোয়ালপাড়া গ্রামের মসজিদ পাড়ার মৃত মুনছুর আলী তরফদারের ছেলে দিনমুজুর অসহায় দরিদ্র কৃষক আশাদুলের ১ বিঘা জমির ৩০টি আম গাছ ও ২৮টি মেহগনি গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। শেষ সম্বল ১বিঘা জমির আম গাছ ও মেহগনি গাছ কেটে দেওয়ায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছে অসহায় দরিদ্র কৃষক আশাদুল। এ ব্যাপারে অসহায় কৃষক আশাদুলের সাথে কথা বললে তিনি অভিযোগ করে বলেন আমি গত ৬মাস আগে গোয়ালপাড়া গ্রামের করিম পাখির মেয়ে শাহানারার সাথে বিবাহ করি তার চরিত্র ভাল না হওয়ায় আমি গ্রামের মন্ডল মাতববারদের সম্মক্ষীনে তার ইচ্ছা মত আমি আমার ওই আম বাগান গোয়ালপাড়া গ্রামের আদম মন্ডলের ছেলে সাইদের কাছে ৬০হাজার টাকায় পাঁচ বছরের জন্য বিক্রি করে তার মধ্যে ৩৫হাজার টাকা দিয়ে তাকে তালাক দিই। তালাক দেওয়ার পরে সে আমাকে বিভিন্ন লোকজন দিয়ে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এক পর্যায় আমি একদিন রাতের বেলা গ্রাম থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে শাহানারা আমাকে বিপাকে ফেলার জন্য রাস্তায় দাড়িয়ে নিজের গায়ে নিজে কোপ মারার জন্য চেষ্ঠা করে। তখন এলাকার সাধারন জনগন তাকে দেখে ফেলাই সে বাড়ি চলে যায় এবং সে আমাকে বলে তোর এমন ক্ষতি করব যাতে তুই একেবারে নিঃস্ব হয়ে যাস। ঠিক তার কয়েক দিন পর গত শুক্রবার রাতে আমার এক মাত্র শেষ সম্বল এই ১বিঘা জমির আম বাগান ও আম গাছের পাশাপাশি মেহগনি বাগান সাবাড় করে দিয়েছে। আমি এ বিষয়টি সীমান্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারের কাছে বলেছি এবং বাগাটির কাটা গাছগুলো সব দেখিয়েছি। এ ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার জহুর আলমের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি আম গাছ ও মেহগনি গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন আশাদুল যখন আমার কাছে বলেছে আমি তখন আমার সাথে কয়েক জনকে নিয়ে আম বাগান ও মেহগনি কাটা গাছগুলো দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি আরও বলেন আশাদুলের গ্রামে কারও সাথে কোন দন্ড নেই। সে এই গ্রামে একটি মহিলার সাথে বিয়ে করেছিল তবে বেশ কয়েক দিন আগে মহিলার ইচ্ছায় গ্রামের মন্ডল মাতববারদের সাথে নিয়ে তাকে ৩৫হাজার টাকা দিয়ে তালাক দিয়ে দেয়। তবু শাহানারা তার পিছু ছাড়ে না। কিন্তু আশাদুল তাকে আর নিতে চাইনা বলে তার উপরে প্রতিশোধ নিতে একটি করতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সীমান্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন ময়েনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন গোয়ালপাড়া গ্রামে আশাদুল নামের দরিদ্র কৃষকের যে ১বিঘা আম বাগান কেটেছে সে বিষয় আমি বলেছি এটা আসলে খুব দুঃখ জনক ব্যাপার। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহানারার সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি আশাদুলের সাথে আমার ৬মাস আগে বিয়ে হয়েছিল। সে গত কয়েক দিন আগে আমাকে ৩৫হাজার টাকা দিয়ে তালাক দিয়েছে আমি তার আম বাগান ও মেহগনি বাগান কাটতে যাবো কেন তার সাথে যখন আমার বিয়ে হয়েছিল তখন আমি তার চাষের জন্য টাকা দিয়েছি। আর আমি তার সেই গাছগুলো কেন কাটবো ওরা আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে ক্ষতি করার জন্য চেষ্টা করছে।