জীবননগর আন্দুলবাড়িয়া পাঁকায় গভীর রাতে দূর্বৃত্ত্বদের হামলা: কৃষককে কুপিয়ে হত্যা : স্ত্রী রক্তাক্ত জখম : আতঙ্কিত এলাকাবাসী
- আপলোড টাইম : ০৪:৫৫:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০১৭
- / ৪৩০ বার পড়া হয়েছে
জীবননগর অফিস: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার পাকা গ্রামে কৃষককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে গত বুধবার রাত ১১টার সময় জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের পাঁকা গ্রামের শ্বশানতলাপাড়ার মৃত খোকাই বিশ্বাসের ছেলে দিন মজুর কৃষক আবুল কালাম (৩০) ও তার স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন (২৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় একদল দুর্বৃত্ত্ব হঠাৎ এসে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকলে ঘটনাস্থলে কৃষক আবুল কালাম নিহত হয় এবং তার স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন গুরুতর আহত হয়। তাকে চিকিৎসার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে নিহতের বড় ভাইয়ের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের সাথে গ্রামে কারও কোন ঝগড়া বিবাদ হয়নি। এমনকি সে কারও সাথে কোন দিন উচ্চস্বরে কথাও বলতো না। নিজের চাষাবাদ নিয়ে সর্বদা ব্যস্ত থাকতো। এলাকাবাসী থেকে জানা গেছে, গত বুধবার আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টার সময় আমরা একটি চিৎকার শুনতে পাই। আমরা মনে করি গ্রামে হয়ত ডাকাত এসেছে। তাই আমরা গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে গ্রামের দিকে ছুটে যায়। হঠাৎ দেখি আবুল কালামের স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় কান্নাকাটি করছে। তখন আমরা সকলে তাদের বাড়ির ভিতরে যেয়ে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির বারান্দায় আবুল কালামের মৃত দেহ পড়ে আছে। এলাকাবাসী আরও বলেন, নিহত আবুল কালাম একজন সাদাসিদে মানুষ ছিল। তার সাথে গ্রামে কারও কোন দ্বন্দ্ব ছিল না। এদিকে শাহপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই ওয়ালিয়ারের সাথে কথা বললে, তিনি বলেন গত বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় পাঁকা গ্রাম থেকে একজন আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, শ্বশানপাড়ায় একটি খুন হয়েছে। এ সংবাদ শুনে আমি ওসি স্যার জানায় এবং দ্রুত ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যায়। ওসি স্যার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিহত কালামের লাশ রাতেই জীবননগর থানায় নেওয়া হয়। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কলিমুল্লাহ ও জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক। কৃষক কালাম হত্যার পরথেকে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতস্ক বিরাজ করছে। পুলিশ জানায়, রাতে আবুল কালাম স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ১১টার দিকে সাত-আটজনের একদল দুর্বৃত্ত বাড়িতে ঢুকে ঘুমন্ত আবুল কালামকে কোপাতে শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এদিকে, আবুল কালামকে কোপানোর সময় বাধা দিতে গেলে দুর্বৃত্ত্বরা তার স্ত্রীকেও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এদিকে গতকালই নিহত কৃসকের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে এবং বিকালে নিজ গ্রামের কবরস্তানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামূল হক জানান, কারা কেন ওই কৃষককে হত্যা করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।