ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

জীবননগর আন্দুলবাড়িয়ায় চাষ হচ্ছে মেওয়াফল কৃষকদের তাক লাগিয়ে মেওয়া চাষে সফলতা পেয়েছে য্বুক রাশেদ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৬
  • / ২২০৩ বার পড়া হয়েছে

DSC00705

জাহিদ বাবু/মিঠুন মাহমুদ জীবননগর থেকে: জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামে মেওয়া ফল চাষে সফলতা পেতে শুরু করেছেন যুবক রাশেদ। জানা গেছে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের নিধিকুন্ডু গ্রামে মৃত ইয়াছিন মিয়ার ছেলে মেওয়া ফলচাষী রাশেদ ইতোমধ্যেই মেওয়া ফলের বাগান করে জীবননগর উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী এলাকার কৃষকদের তাক লাগিয়ে দিয়েছে। ৬থেকে ৭বিঘা জমিতে লাগানো মেওয়া গাছগুলোর প্রতিটিতেই প্রায় ইতোমধ্যেই ফল ধরতে শুরু করেছে। সেই ফল চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরসহ ঢাকাতেও রপ্তানি করছে বলে জানা গেছে। তার এই ব্যতিক্রম চাষ দেখে নিজ গ্রামসহ বেশ কয়েকটি এলাকার বেকার যুবকেরা মেওয়া বাগান দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন। এলাকার অনেক বেকার  যুবক প্রতিদিন ২শ টাকা মজুরীতে কাজ করছে এই বাগানে। ফলে এলাকার অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এ ব্যাপারে মেওয়া ফল চাষী রাশেদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ এবং পেয়ারা বাগান করেছি। আমার এ চাষ দেখে আমাদের গ্রামের একজন আমাকে বলেন তুইতো দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ধরনের চাষাবাদ করে আসছিস, তুই এলাকায় একটি ভিন্ন ধরনের চাষ কর। আমি তাকে বলি ভিন্ন ধরনের কি চাষ, তখন তিনি বলেন তুই মেওয়া ফলের বাগান তৈরি কর। আমি তার কথা মত প্রথমে ৫বিঘা জমিতে থাই জাতের মেওয়া ফল গাছের প্রতিটি চারা পাবনা থেকে  ৬০টাকা দরে ৪২হাজার টাকা দিয়ে সাড়ে ৬শ থেকে ৭শ চারা ক্রয় করে চারাগুলো রোপন করি। বর্তমানে প্রতিটি গাছে ২৫থেকে ৩০টি ফল ধরেছে এবং এগুলো মাঝে মাঝে ৩শ টাকা থেকে ৪শ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি করে থাকি। চাষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন চারা রোপনের সময় মাটিতে রস আছে কিনা সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যদি মাটিতে রস থাকে তা হলে মেওয়া গাছের চারা রোপন করা যাবে। এটি সম্পূর্ণ বিষমুক্ত ফল। এই চাষে একমাত্র সার ব্যবহার হয়ে থাকে। গোবর সার ও ইউরিয়া সার ছাড়া গাছের গোড়া সব সময় সুন্দর ভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে। এমনিভাবে গাছের বয়স ৪বছর হলে অল্প অল্প করে ফল ধরা শুরু হয়।এ গাছে তেমন কোন রোগের আক্রমন দেখা না গেলেও একধরণের ভাইরাসের সংক্রামনে ৮০ভাগ ফলই নষ্ট হয়ে যায়। এই ভাইরাস নির্মূলে এখনও কোন প্রতিকার না মেলায় মেওয়া চাষীদের মাঝে একধরণের হতাশা কাজ করে। এদিকে মেওয়া চাষের পরামর্শ দিতে কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা পাচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আসে না বললে ভুল হবে, কৃষিকর্মকর্তারা গ্রামে আসেন ঠিকই কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমার মেওয়া বাগানে কেউ আসেনি। তিনি আরও জানান যদি কৃষি অফিস থেকে তাকে এ চাষ সম্বন্ধে পরামর্শ ও সাহায্য সহযোগিতা করত তা হলে এর চেয়ে আরও বেশি মেওয়া বাগান তৈরি করে চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ দেশের মানুষের কাছে একটি বিষমুক্ত সুস্বাদু ফল উপহার দিতে পারতাম। এব্যাপারে জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমাদের কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা প্রায় প্রতিদিনি কৃষকদের বিভিন্ন চাষাবাদ নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করে থাকে। এই চাষের ব্যাপারে আমাদের কেউ জানায়নি এবং এই চাষ সম্বন্ধে আমাদের নিকট কেউ কোন পরামর্শ নিতে আসেনি। যেহেতু এই চাষটি আমাদের এলাকায় নতুন চাষ। সে কারনে হয়ত তেমন কারও ধারনা নেই। তবে আমরা যতটুকু পারি তাকে সাহায্য সহযোগিতা করব।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগর আন্দুলবাড়িয়ায় চাষ হচ্ছে মেওয়াফল কৃষকদের তাক লাগিয়ে মেওয়া চাষে সফলতা পেয়েছে য্বুক রাশেদ

আপলোড টাইম : ১২:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৬

DSC00705

জাহিদ বাবু/মিঠুন মাহমুদ জীবননগর থেকে: জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামে মেওয়া ফল চাষে সফলতা পেতে শুরু করেছেন যুবক রাশেদ। জানা গেছে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের নিধিকুন্ডু গ্রামে মৃত ইয়াছিন মিয়ার ছেলে মেওয়া ফলচাষী রাশেদ ইতোমধ্যেই মেওয়া ফলের বাগান করে জীবননগর উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী এলাকার কৃষকদের তাক লাগিয়ে দিয়েছে। ৬থেকে ৭বিঘা জমিতে লাগানো মেওয়া গাছগুলোর প্রতিটিতেই প্রায় ইতোমধ্যেই ফল ধরতে শুরু করেছে। সেই ফল চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরসহ ঢাকাতেও রপ্তানি করছে বলে জানা গেছে। তার এই ব্যতিক্রম চাষ দেখে নিজ গ্রামসহ বেশ কয়েকটি এলাকার বেকার যুবকেরা মেওয়া বাগান দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন। এলাকার অনেক বেকার  যুবক প্রতিদিন ২শ টাকা মজুরীতে কাজ করছে এই বাগানে। ফলে এলাকার অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এ ব্যাপারে মেওয়া ফল চাষী রাশেদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ এবং পেয়ারা বাগান করেছি। আমার এ চাষ দেখে আমাদের গ্রামের একজন আমাকে বলেন তুইতো দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ধরনের চাষাবাদ করে আসছিস, তুই এলাকায় একটি ভিন্ন ধরনের চাষ কর। আমি তাকে বলি ভিন্ন ধরনের কি চাষ, তখন তিনি বলেন তুই মেওয়া ফলের বাগান তৈরি কর। আমি তার কথা মত প্রথমে ৫বিঘা জমিতে থাই জাতের মেওয়া ফল গাছের প্রতিটি চারা পাবনা থেকে  ৬০টাকা দরে ৪২হাজার টাকা দিয়ে সাড়ে ৬শ থেকে ৭শ চারা ক্রয় করে চারাগুলো রোপন করি। বর্তমানে প্রতিটি গাছে ২৫থেকে ৩০টি ফল ধরেছে এবং এগুলো মাঝে মাঝে ৩শ টাকা থেকে ৪শ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি করে থাকি। চাষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন চারা রোপনের সময় মাটিতে রস আছে কিনা সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যদি মাটিতে রস থাকে তা হলে মেওয়া গাছের চারা রোপন করা যাবে। এটি সম্পূর্ণ বিষমুক্ত ফল। এই চাষে একমাত্র সার ব্যবহার হয়ে থাকে। গোবর সার ও ইউরিয়া সার ছাড়া গাছের গোড়া সব সময় সুন্দর ভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে। এমনিভাবে গাছের বয়স ৪বছর হলে অল্প অল্প করে ফল ধরা শুরু হয়।এ গাছে তেমন কোন রোগের আক্রমন দেখা না গেলেও একধরণের ভাইরাসের সংক্রামনে ৮০ভাগ ফলই নষ্ট হয়ে যায়। এই ভাইরাস নির্মূলে এখনও কোন প্রতিকার না মেলায় মেওয়া চাষীদের মাঝে একধরণের হতাশা কাজ করে। এদিকে মেওয়া চাষের পরামর্শ দিতে কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা পাচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আসে না বললে ভুল হবে, কৃষিকর্মকর্তারা গ্রামে আসেন ঠিকই কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমার মেওয়া বাগানে কেউ আসেনি। তিনি আরও জানান যদি কৃষি অফিস থেকে তাকে এ চাষ সম্বন্ধে পরামর্শ ও সাহায্য সহযোগিতা করত তা হলে এর চেয়ে আরও বেশি মেওয়া বাগান তৈরি করে চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ দেশের মানুষের কাছে একটি বিষমুক্ত সুস্বাদু ফল উপহার দিতে পারতাম। এব্যাপারে জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমাদের কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা প্রায় প্রতিদিনি কৃষকদের বিভিন্ন চাষাবাদ নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করে থাকে। এই চাষের ব্যাপারে আমাদের কেউ জানায়নি এবং এই চাষ সম্বন্ধে আমাদের নিকট কেউ কোন পরামর্শ নিতে আসেনি। যেহেতু এই চাষটি আমাদের এলাকায় নতুন চাষ। সে কারনে হয়ত তেমন কারও ধারনা নেই। তবে আমরা যতটুকু পারি তাকে সাহায্য সহযোগিতা করব।