জীবননগরে হারিয়ে যেতে বসেছে বেত ও বাঁশ শিল্পের ব্যবহার: যান্ত্রিক যুগে প্রসিদ্ধ কারীগরদের মানবেতর জীবন

জাহিদ বাবু/মিঠুন মাহমুদ জীবননগর অফিস: প¬াস্টিক সামগ্রির দাপটে জীবননগর বাজারে চারুশিল্পের চাহিদা দিনদিন কমে যাওয়ার কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার ঐতিয্যবাহী বেত ও বাঁশ শিল্পের ব্যবহার ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছে কারিগররা । জানা জীবননগর উপজেলার প্রসিদ্ধ কারিগররা তাদের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য বাপদাদার রেখে যাওয়া পেশা ছেড়ে দিয়ে বেছে নিচ্ছে বিভিন্ন পেশা। যার ফলে বেত ওবাঁশের তৈরি জিনিসের প্রতি মানুষের দিনদিন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে ।জীবননগরের বেত ওবাঁশ শিল্পের সুনাম চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ছড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু আধুনিক ও যান্ত্রিক যুগের সাথে পাল্ল¬া দিয়ে টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই দিনদিন বেত ওবাঁশ শিল্পের খ্যাতি ধীরে ধীরে নিন্ম হয়ে অলাভ জনক শিল্পে পরিনত হয়ে পড়েছে। যে কারণে জীবননগর উপজেলার বেত ও বাঁশ শিল্পের কারিগররা বাপদাদার রেখে যাওয়া পেশা ছেড়ে বেছে নিচ্ছে নতুন নতুন পেশা। যে পেশায় তারা একেবারে আনাড়ী। যার ফলে জীবননগর উপজেলার বেতও বাঁশ শিল্পীরা এখন অনেক মানবেতর জীবন যাপন করছে। জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া, শিয়ালমারী, উথুলী, তেতুলিয়া,ও বাড়ভাঙ্গা গ্রামের প্রায় ৮শ পরিবার বেত ওবাঁশ শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। যারা বাঁশ দিয়ে তৈরি করে চাটাই, ঝুড়ি, কুলা, টুকা ,ডালা, পেছে, চালুন, খাঁচা, মোড়া, খারইসহ বিভিন্ন ধরনের দ্রব্য সামগ্রী তৈরি করে, স্থানীয় বাজার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায়ও বাজারজাত করত। কিন্তু বর্তমান ডিজিটাল সময়ে প্লাস্টিক সামগ্রীর দাপটে বেতওবাঁশ শিল্পের চাহিদা প্রায় শেষ  হওয়ার পথে। এই পেশার সঙ্গে জড়িত শরিফুল, শহিদুল ইসলাম, সামাদ, ছলেমান, সুনল দাস, জতেন্দ্র নারায়ন, মন্টু, আরিফুলসহ বেশ কয়েক জনের সাথে কথা বললে তারা বলেন বর্তমানে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সরবরাহ ওসরকারী পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় এবং বাজারে বাহারী ধরনের প্লা¬স্টিক সামগ্রীর দাপটে বেত ওবাঁশ শিল্পের ব্যাবহারের বেহালদশা। তারা আরো বলেন আমাদের খবর কেউ রাখেনা বাড়ভাঙ্গার শরিফুল বলেন, বর্তমানে আমাদের সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। পাঁচ জনের সংসার আমরা কখনো কখনো খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে, অথচ আমাদের খবর কেউ রাখেনা।