
মিঠুন মাহমুদ:
জীবননগরে প্রথমবার স্ট্রবেরি চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা লিটন। জীবননগর পৌর শহরের লক্ষীপুর গ্রামের লিটন মিয়া নিজের চাতাল মিল ব্যবসা ছেড়ে ২০১৬ সালে পুরোপুরিভাবে কৃষিকাজ শুরু করেন। এ বছরই প্রথমবার স্ট্রবেরি চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন তিনি। ৪০ বিঘা ড্রাগন চাষের মধ্যে সাথী ফসল হিসেবে ৪০ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন স্ট্রবেরি। ইতঃমধ্যে প্রায় ৫ লাখ টাকার স্ট্রবেরি বিক্রি করেছেন। তাঁর আশা আরও ২০ লাখ টাকার স্ট্রবেরি বিক্রি হবে এই জমি থেকে।
তিনি জানান, গত বছর রাজশাহী থেকে স্ট্রবেরি চারা আনিয়ে অক্টোবরে জমিতে চারাগুলি লাগিয়েছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৬৫ হাজার গাছ রয়েছে। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে ফল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। ইতঃমধ্যে এই গাছগুলো থেকে প্রায় ৩ শ কেজির মতো স্ট্রবেরি বিক্রি করেছেন। একদিনে ৬০ থেকে ৭০ কেজি পর্যন্ত ফল সংগ্রহ হচ্ছে। তিনি প্রতি কেজি ফল ৮ শ থেকে এক হাজার টাকা দামে বিক্রি করছেন। রাজধানী ঢাকা, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ব্যবসায়ীরা কিনে নিচ্ছেন এ ফল। সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে এগুলো চাষ করেছেন তাই লোকজন অনেক বেশি আগ্রহ নিয়ে ফল কিনছেন বলে জানান তরুন উদ্যোক্তা লিটন মিয়া। মার্চ মাস পর্যন্ত গাছগুলো থেকে নিয়মিতভাবে ফল পাওয়া যাবে। এরপর যদি গাছে বাড়তি যত্ন এবং ওপরে ছায়া দেওয়ার জন্য শেড তৈরি করে দেওয়া হয়, তবে আর কিছুদিন ফল ধরবে বলে ধারণা করছেন এই উদ্যোক্তা।
এদিকে, স্ট্রবেরি চাষ দেখতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন এলাকা থেকে লিটন মিয়ার বাগানে ভীড় করছেন তরুণ উদ্যোক্তরা। স্ট্রবেরি চাষ দেখতে আশা মহেশপুর উপজেলার হানিফপুর গ্রামের আরশাদ আলী বলেন, ‘আমাদের এলাকাতে স্ট্রবেরি চাষ হবে, এটা আমি কখনো চিন্তা করতে পারি নাই। লিটন মিয়া সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে এই চাষটা করে। এত পরিমাণ স্ট্রবেরি ফল ধরেছে চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে।’
জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. শারমিন আক্তার বলেন, ‘জীবননগর উপজেলায় এই প্রথম লিটন মিয়া স্ট্রবেরির চাষ করছেন এবং তার প্রতিটি গাছে বেশ চমৎকার ফল ধরেছে। এবং ইতঃমধ্যেই তিনি বাজারজাত শুরু করেছেন। আমরা কৃষি বিভাগ থেকে তাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে আসছি।’