
সমীকরণ প্রতিবেদন:
জীবননগর উপজেলা প্রশাসন শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে অংশ নিতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শতাধিক শিক্ষার্থী জড়ো হয় উপজেলা পরিষদ মিলনায়নে। গতকাল মঙ্গলবা সকাল ১০টায় শুরু হয় প্রতিযোগিতা। তবে সেখানে ছিল না টেবিলের (বেঞ্চ) ব্যবস্থা। এ জন্য পায়ের ওপর খাতা রেখে সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হয়েছে। এদিকে অনেকেই পায়নি চেয়ার। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
রাখি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিসা জানায়, চেয়ারে বসে কি সুন্দর লেখা যায়? স্কুলে বসার জন্য চেয়ার আর লেখার জন্য টেবিল থাকে। এখানে শুধু একটা চেয়ার দিয়েছে। লিখব কীসের ওপর? প্রাইড স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, প্রথম থেকেই আয়োজনে নানা অব্যবস্থাপনা দেখা যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের হাতের লেখা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে, তবে লেখার জন্য কোনো বেঞ্চ বা টেবিল নেই। পায়ের ওপর কাগজ রেখে ভালো হাতের লেখা তো সম্ভব না। তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থী বেশি হওয়ায় আমরা আয়োজন কমিটিকে দুই ধাপে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেনি। এ জন্য অনেকেই চেয়ার না পেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।’
রাখি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক মো. উজ্জ্বল হোসেন খোকন বলেন, ‘হাতে লেখার জন্য অবশ্যই বেঞ্চ দরকার। না হলে মেঝেতে বসার ব্যবস্থা করার দরকার ছিল। এখানে চেয়ারের ওপর হাতের লেখা নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থী কীভাবে ভালো করবে, এটা ভাবতে অবাক লাগে। ভবিষ্যতে কর্তৃপক্ষকে ভালো উদ্যোগ নেওয়ার দাবি করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিযোগিতা আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন অব্যস্থপনার দায় স্বীকার করেন। তিনি বলেন, প্রভাতফেরি শেষে এখানে আলোচনা সভা হয়েছে। এ কারণে চেয়ারে শিক্ষার্থীদের বসিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু করা হয়। অন্য উপজেলায় চেয়ারের সঙ্গে লেখার জন্য টেবিলের মতো হাতলের ব্যবস্থা থাকে। তবে এখানে সেই ব্যবস্থা নেই। তাই শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকুনুজ্জামানকে ফোন করা হয়। এর পরপরই ইউএনও প্রতিযোগিতার স্থানে আসেন। তিনি পরবর্তী চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার জন্য মেঝেতে বসার ব্যবস্থা করেন। তিনি বলেন, অনুষ্ঠানের জন্য একটি উপ-কমিটি করা হয়েছে। অব্যবস্থাপনার কিছু হলে এটা খুবই দুঃখজনক।