জীবননগরে ব্যস্ত সময় পার করছেন পাট চাষিরা
পর্যাপ্ত বৃষ্টিতে পাট জাগ দিতে পেরে খুশি
- আপলোড টাইম : ০১:৪২:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৪৮ বার পড়া হয়েছে
গত কয়েক বছর পাট জাগ দেওয়া নিয়ে ব্যাপক সমস্যায় ছিলেন চাষিরা। তবে এবার খাল—বিল ও নদ—নদীতে থই থই করছে পানি। কোনো সমস্যা ছাড়া পাট জাগ দিতে পেরে বেজায় খুশি জীবননগরের চাষিরা। আবার বাজারে পাটের চাহিদা ভালো এবং দামও সন্তোষজনক।
সরেজমিনে জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের কাশিপুর বিলে গিয়ে দেখা যায়, অসংখ্য দিনমজুর পাট ধুয়ে চলেছেন। কথা হয় কাশিপুর গ্রামের দিনমজুর জসিম উদ্দিন, আ. সালাম ও মতিয়ার রহমানের সাথে। তারা বলেন, গত কয়েক বছরের চেয়ে এ বছর পাট ধোয়ার জন্য কিছুটা বেশিই দাম নিতে হচ্ছে। এক অঁাটি পাট তারা ২০ টাকায় ধুয়ে দিচ্ছেন। তারা বলেন, কয়েক বছর ধরে এমন সুন্দরভাবে আমরা পাট ধোয়ার কাজ করতে পারিনি। এবছর প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। চাষিও তার পছন্দমতো স্থানে পাট জাগ দিতে পেরেছেন। সে কারণে পাটে সেই হারানো দিনের রং ফিরে এসেছে। এ বছর পাটের যে রং হচ্ছে, তাতে করে চাষিরা অন্য বছরের চেয়ে বেশি দরে পাট বিক্রি করতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
পাট চাষি হাসেম আলী, আক্কাস আলী ও সবুর হোসেন বলেন, গত কয়েক বছর ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় পাটের প্রকৃত রং হয়নি। ফলে বাজারে তার দামও ভালো পাওয়া যায়নি। এবছর পানি হওয়ার কারণে পাটের রং খুবই সুন্দর হচ্ছে। সেই আগের সোনালি অঁাশ এবার কৃষকেরা দেখতে পারছেন। পাটের রং ভালো হওয়ায় এবছর পাট চাষ করে কৃষক বেশ আনন্দেই আছেন বলে জানান তারা।
জীবননগর বাজারের পাট ব্যবসায়ী মো. রকি মিয়া ববলেন, এবছর জীবননগর উপজেলায় গতবারের তুলনায় অনেক বেশি পাট চাষ হয়েছে। এখন পাটের বাজারও অনেক ভালো। কোয়ালিটি সম্পন্ন পাটগুলো ২ হাজার ৪৫০ টাকা মণ হিসবে বিক্রি হচ্ছে এবং সর্বনিম্ন পাটগুলোর বাজার দর ২ হাজার ৩০০ টাকা মণ। প্রতি হাটেই বাজারে পাট আসছে।
জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. কামাল হোসেন বলেন, গত কয়েক বছরে পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে পাট নিয়ে চিন্তিত ছিলেন চাষিরা। তবে এবছর সেটি আর নেই। পর্যাপ্ত পানি থাকায় পাটের চমৎকার রং হচ্ছে। রোদে শুকিয়ে পাট বাজারজাতকরণের জন্য চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ভালোভাবে শুকাতে পারলে এবার দামটাও ভালো পাবে কৃষকেরা।