ইপেপার । আজ বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

জীবননগরে নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাবু খান

কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৮:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৪১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে নেতা-কর্মীদের সাথে জরুরি মতবিনিময় করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির উপ-কোষাধ্যক্ষ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জীবননগর উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাহমুদ হাসান খান বাবু ঢাকা থেকে এসে সরাসরি মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এর আগে নেতার আগমনের খবরে বিকেল থেকেই জীবননগর হাসপাতাল এলাকায় দলীয় কার্যালয় ঘিরে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল, মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে উপস্থিত হন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
মতবিনিময় সভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু বিএনপি ও সকল সহযোগী সংগঠনের দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কোনো সংঘাত-সংঘর্ষ নয়। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। কেউ যদি আইন তার নিজের হাতে তুলে নেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে দেশটাকে লুটেপুটে চুষে খেয়েছে। ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে শেখ হাসিনা। এখন দেশের ক্রান্তিকাল চলছে। এই মাতৃভূমি, এই বাংলাদেশ আমার, আপনার, সবার। তাই এই পরিস্থিতিতে সবাইকে রাষ্ট্র সংস্কারে সহযোগিতা করতে হবে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দলের দোষররা কিন্তু এখনো এদেশে রয়েছে। তারা ষড়যন্ত্র করবে, সহিংসতা করবে, লুটতরাজ করবে, অরাজকতা করে বিএনপির ওপর দোষ চাপাবে। আমরা সবাই সতর্ক থাকবো। কোনো অবস্থাতেই তাদের ফাঁদে পা দেয়া যাবে না।
বাবু খান বলেন, কোনো প্রতিহিংসা নয়, কোনো প্রতিশোধ নয়। আমরা চাই দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হোক, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক। তাই এখনই সময় সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওই সব দুস্কৃতিকারীদের প্রতিহত করা।
জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান খোকনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান, সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ হোসেন, জীবননগর পৌর বিএনপির সভাপতি শাজাহান কবির, সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান ডাবলু, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন শামিম, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিম খান, জেলা ছাত্রদলের নির্বাহী সদস্য তৌফিকুজ্জামান শ্রাবণ, জীবননগর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব সুমন মিয়া, ছাত্রদলের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, সদস্যসচিব রিমন রহমান, বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা রাজা, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে সাড়ে ৯টায় আন্দুলবাড়ীয়াস্থ নিজ বাসভবনে জীবননগর উপজেলার ৮ ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু। এসময় উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান খোকন, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক আজিম খান, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোল্লা ফয়েজ আহমেদ, উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান আরিফ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দরবেশ মোল্লা, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি সাইদুর রহমান বাবু প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগরে নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাবু খান

কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে

আপলোড টাইম : ১০:৪৮:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে নেতা-কর্মীদের সাথে জরুরি মতবিনিময় করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির উপ-কোষাধ্যক্ষ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জীবননগর উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাহমুদ হাসান খান বাবু ঢাকা থেকে এসে সরাসরি মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এর আগে নেতার আগমনের খবরে বিকেল থেকেই জীবননগর হাসপাতাল এলাকায় দলীয় কার্যালয় ঘিরে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল, মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে উপস্থিত হন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
মতবিনিময় সভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু বিএনপি ও সকল সহযোগী সংগঠনের দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কোনো সংঘাত-সংঘর্ষ নয়। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। কেউ যদি আইন তার নিজের হাতে তুলে নেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে দেশটাকে লুটেপুটে চুষে খেয়েছে। ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে শেখ হাসিনা। এখন দেশের ক্রান্তিকাল চলছে। এই মাতৃভূমি, এই বাংলাদেশ আমার, আপনার, সবার। তাই এই পরিস্থিতিতে সবাইকে রাষ্ট্র সংস্কারে সহযোগিতা করতে হবে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দলের দোষররা কিন্তু এখনো এদেশে রয়েছে। তারা ষড়যন্ত্র করবে, সহিংসতা করবে, লুটতরাজ করবে, অরাজকতা করে বিএনপির ওপর দোষ চাপাবে। আমরা সবাই সতর্ক থাকবো। কোনো অবস্থাতেই তাদের ফাঁদে পা দেয়া যাবে না।
বাবু খান বলেন, কোনো প্রতিহিংসা নয়, কোনো প্রতিশোধ নয়। আমরা চাই দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হোক, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক। তাই এখনই সময় সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওই সব দুস্কৃতিকারীদের প্রতিহত করা।
জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান খোকনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান, সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ হোসেন, জীবননগর পৌর বিএনপির সভাপতি শাজাহান কবির, সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান ডাবলু, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন শামিম, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিম খান, জেলা ছাত্রদলের নির্বাহী সদস্য তৌফিকুজ্জামান শ্রাবণ, জীবননগর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব সুমন মিয়া, ছাত্রদলের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, সদস্যসচিব রিমন রহমান, বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা রাজা, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে সাড়ে ৯টায় আন্দুলবাড়ীয়াস্থ নিজ বাসভবনে জীবননগর উপজেলার ৮ ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু। এসময় উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান খোকন, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক আজিম খান, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোল্লা ফয়েজ আহমেদ, উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান আরিফ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দরবেশ মোল্লা, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি সাইদুর রহমান বাবু প্রমুখ।