
জীবননগর অফিস: জীবননগরে দুই দিনের টানা ভারী বৃষ্টি বর্ষনের কারনে ঘরবাড়িসহ ফসলাবাদি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । জানা গেছে গত বুধবার ভোর থেকে শুরু হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বিরতীহীন ভাবে মুষলধারে টানা বৃষ্ঠি বর্ষণের কারনে জীবননগর পৌর শহর সহ উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের সাধারন মানুষের ঘরবাড়িতে পানি জমা সহ মাঠে ধান, পাট, পটলসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলাবাদির জমিতে পানি জমে থাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম, গঙ্গাদাশপুর গ্রামের কৃষক শামিম হোসেন, হরিহরনগর গ্রামের কৃষক আজিবার, হাসাদহ ইউনিয়নের ওমদেুল ইসলামের সাথে কথা বললে তারা সকলে বলেন দুই দিন টানা বৃষ্টির কারনে ধান, পাট, পটল, বেগুন, ঝালসহ সকল ফসলের জমিতে মাজা সমান পানি বেধে আছে ইতোমধ্যেই ধান, ঝাল, বেগুন গাছের মাথা পচে যেতে শুরু করেছে তারা আরো বলেন এ বছর যে ধরনের ফসল জমিতে হয়েছিল তাতে আমাদের খরচ খরচা বাদ দিয়ে মোটা অংকের লাভ হওয়ার আশা ছিল। কিন্তু দুই দিনের এই টানা বৃষ্টির কারনে ফসলে ব্যাপক লোকসান গুণতে হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সাথে এ বছর আউস ধানের লক্ষমাত্রা ছিল ৬ হাজার ২শ হেক্টর তার মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ১হাজার ২শ৫০হেক্টর জমি রুপা আমনের লক্ষমাত্রা ছিল ৩হাজার হেক্টর জমি আর আক্রান্ত হয়েছে ১হাজার ৯শ ৮০ হেক্টর জমি বেগুন আবাদে লক্ষমাত্রা ৪শ হেক্টর জমি আক্রান্ত হয়েছে ২শ ৫০হেক্টর জমি মরিচের লক্ষমাত্রা ছিল ৩শ৮০হেক্টর জমি বৃষ্ঠির পানিতে আক্রান্ত হয়েছে ১শ৭৫হেক্টর জমি এছাড়াও অনান্য সবজি চাষে লক্ষমাত্রা ছিল ১হাজার ৬শ ৫০হেক্টর জমি কিন্তু বৃষ্ঠির পানিতে আক্রান্ত হয়েছে ৯শ৮০হেক্টর জমির ফসলাবাদি তবে ধানের জমিতে যে পরিমান পানি বেধে আছে তাতে করে যদি পানি নিস্কাকাষনেরে ব্যবস্থা করা হয় তা হলে নষ্ঠ হবে তবে বেগুন,মরিচের গাছ অনেক মারা যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে ।