
জীবননগর অফিস:
নাশকতার প্রস্তুতির সময় জীবননগর থেকে জামায়াতের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় ৪টি বোমা সদৃশ বস্তু ও ‘জিহাদী’ বই উদ্ধার করা হয়। গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল রোববার গ্রেপ্তারকৃতদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- হাসাদহ ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের সাইদুল ইসলাম, মারুফদাহ গ্রামের মো. শাহ আলম, বালিহুদা গ্রামের মো. ফজলুর রহমান, নতুন চাকলা গ্রামের মো. আতিকুর রহমান মণ্টু, কাটাপোল গ্রামের মো. মিনাজ উদ্দিন, বৈদ্যনাথপুর গ্রামের ওলিউর রহমান, সীমান্ত ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামের রেজাউল করিম, বেনীপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মো. রবিউল হোসেন, গোয়ালপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মো. জহুর আলম, যাদবপুর গ্রামের মইনুদ্দিন, জীবননগর পৌরসভার আশতলাপাড়ার মো. নুরুজ্জামান বিশ্বাস এবং উথলী ইউনিয়নের মৃগমারী গ্রামের মো. হাসানুজ্জামান।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল খালেক বলেন, গত শনিবার সন্ধ্যায় জামায়াতের নেতা-কর্মীরা নাশকতার পরিকল্পার প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমন সংবাদ পায় পুলিশ। এসময় জীবননগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রায়হান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হাসাদহ ইউনিয়নের বৈদ্যনাথপুর গ্রামের একটি আমবাগানে অভিযান চালায়। সেখানে জামায়াতের প্রায় ৬০-৭০ জন নেতা-কর্মী নাশকতার পরিকল্পনার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় তারা পুলিশের উপস্থিতি টেরে পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে উপজেলার মাধবপুর ও হাসাদহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামায়াতের মোট ১২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের গতকাল রোববার দুপুরে জীবননগর আমলি আদালতে সোপর্দ করা হয়। এবং তাদের নিকট থেকে উদ্ধারকৃত ৪টি বোমা সদৃশ বস্তু ও বেশকিছু ‘জিহাদী’ বই জমা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছে।